কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমার নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়েছিল। এসব জেলেদের আরাকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে রাখে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য সীমান্তের অধিকাংশ এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিজিবি তাদের ফেরত আনতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শনিবার বিকালে বিজিবি মিয়ানমারে আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ২৬ জেলেকে ফেরত দিতে সম্মত হয়। সকালে এসব জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবির একটি দল ট্রলারযোগে মংডুর উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটি ঘাট দিয়ে একটি কাঠের ট্রলার যোগে ২৬ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, টেকনাফ ট্রানজিট জেটি ঘাটে পৌঁছার পর এসব জেলেদের কাছে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই কাজ করা হয়। ফেরত আসা জেলেরা জানিয়েছেন, নাফ নদী ও সাগরে মাছ ধরার সময় তারা ভুল করে মিয়ানমারের জলসীমার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। এতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা এসব জেলেদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে ফেরত আসা ৫ বাংলাদেশি জেলেকে স্বজনদের এবং রোহিঙ্গাদের স্ব-স্ব ক্যাম্পের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কর্নেল আশিকুর রহমান।
0 মন্তব্যসমূহ