ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন : সালাহউদ্দিন আহমদ

বার্তা ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ডিসেম্বরের আগেই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। কিছু উপদেষ্টা জনগণের পালস বুঝেনা। তাদের নসিহত করুন, অথবা বিদায় দিন। জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। গণ অভ্যুত্থানের স্পিড অনুযায়ী নিত্য-পণ্যের মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করুন। আইন শৃংখলা পরিস্থতির উন্নতিতে নজর দিন। পতিত হাসিনার দোসরদের অস্থিরতার অপচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করুন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,অনুপাত -অনুপাত নির্বাচন যারা চান, তাদের রাজনৈতিক অনুপাতের জ্ঞান নেই। স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসায় না। এদেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছে। বৈষম্যহীন জ্ঞানলদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ছাত্র-জনতার ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এজন্য ভোট বিহীন এদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সুতরাং জাতীয় সংসদেই নির্ধারিত হবে গণতান্ত্রিক সংস্কারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও  গণতন্ত্র রক্ষার সকল কর্ম। সোমবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে কক্সবাজার শহরের গোল চত্বর মাঠে কক্সবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত, অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জন দাবিতে সারা দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান পাকিস্তানের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান রাজনৈতিক মৃত্যুবরণ করেন। আর ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই নিজের কবর রচনা করেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের কবর রচনা করে, আওয়ামীলীগের দাফন কার্য সম্পন্ন করে। এখন আওয়ামীলীগের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, আর দাফন হয়েছে দিল্লীতে। মুর্দা হাসিনা কাফন পরে কথা বলছে দিল্লীতে বসে। পতিত ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা হাসিনা নতুন বাংলাদেশে কাফন পরে কথা বলে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এদেশে মুর্দার কথা বলা জায়েজ নাই। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ এবং গণতন্ত্র পরস্পর বিরোধী শব্দ। আওয়ামীলীগ  তথা শেখ হাসিনা এদেশে রাজনীতি করেনি। করেছে- সংসদীয় একনায়ক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি খুন, গুম,লুটপাট। যার কারণে শেখ হাসিনা এখন জাতিসংঘ স্বীকৃত, বিশ্ব স্বীকৃত একজন খুনী। আর শহীদ জিয়া এদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছেন।  ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদ বিতাড়নের মধ্য দিয়ে পূণঃ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সাবেক এমপি আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক, মমতাজুল ইসলাম, এডভোকেট নুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, ইউসুফ বদরী, রফিকুল ইসলাম, এডভোকেট ছৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, কৃষক নেতা গিয়াস উদ্দিন আফসেল, ছাত্রদল নেতা ফাহিমুর রহমান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ