গ্রেফতার সাদ্দাম ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলার আসামী টেকনাফ স্থলবন্দরের সেই আলোচিত কম্পিউটার অপারোটর নূরুল ইসলামের ভাগিনা। ভাই রানাও যুবলীগের রাজনীতি করেন এবং মামলার আসামী।
কিন্তু প্রধান দুই হোতা এই কমিটির সভাপতি সাবেক সাংসদ কারান্তরীণ আবদুর রহমান বদির ভাই আবদুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য এহতেশামুল হক বাহাদুর এখনো অধরা।
তারা লাপাত্তা হলেও সমিতির নাম ভাঙিয়ে এখন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তার অংশ হিসেবে গ্রেফতার সাদ্দামের জন্য নানা অসংলগ্ন বিবৃতি দেয়া হচ্ছে।
সিএনফ ব্যবসায়ীদের বিস্তর অভিযোগ, এসব আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও দোসররা এই সমিতিকে ঢাল বানিয়ে ১৫ বছর টেকনাফ স্থলবন্দরকে লুটেপুটে খেয়েছেন। গণ-অভ্যুত্থানের পরও এই সিন্ডিকেটটি বহালতবিয়তে ছিলো। তবে শেষ রক্ষা হলো না। চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর অভিযানে গত সোমবার ক্যাশিয়ার সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর থেকে আবদুল আমিন ও বাহাদুর গা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কিন্তু আত্মগোপনে থেকে তারা নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তারা সমিতিকে আঁকড়ে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছেন এবং নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বাহাদুর তার ভাই ক্রসফায়ারে নিহত কাউন্সিলর একরাম হত্যাকে ঢাল বানিয়েছে মানুষের সিম্পিথি আদায়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু তিনি পদে আসীন হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন এবং অর্থযোগান দিয়েছেন।
আবদুল আমিন ভাই এমপি বদির প্রতিনিধি হয়ে বন্দর কন্ট্রোল করতেন। লুটে নেয়া শত শত কোটি টাকা দিয়েছেন বদিকে।
অভযোগ রয়েছে, বদির ভাই আবদুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর ও সাদ্দাম মিলে সিএনএফ সমিতিকে ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। এই টাকার নিয়মিত ভাগ দিতেন এমপি বদিকে এবং অর্থ যোগান দিতেন আওয়ামীকে।
তারা বহু টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে। তাই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সর্বমহলে জোর দাবি উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আবদুল আমিন ও বাহাদুরকে গ্রেফতার করতে অভিযান জোরদার রয়েছে।
সম্প্রতি এই স্থলবন্দরে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে তা এই সিন্ডিকেটে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে সিন্ডিকেটটি।
0 মন্তব্যসমূহ