রামুতে বিধবা নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারের রামু,উপজেলা কাউওয়াখোপ ইউনিয়নের  উখিয়ারঘোনা পশ্চিম গনিয়াকাটা এলাকায় মৃত ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী জান্নাত আরা নামে এক মহিলাকে গাছে বেঁধে মারধর করা অভিযোগ উঠেছে রামু উপজেলার ফতেকারকুল ইউনিয়ন এর হাজারীকুল এলাকার জসিম নামে কথিত এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার ( ১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়  জানা যায়,গেল ডিসেম্বর ২০ তারিখ বিধবা নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং গতকাল দুপুরে আবারো স্টাম্প নেওয়ার জন্য হামলা করেছে। বর্তমানে তার পুরো শরীরে এখনো নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম গনিয়াকাটা গ্রামে। 

এ ঘটনায় রামু থানায় একটি মামলা করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী মহিলা। 

নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই নারীর নাম জান্নাত আরা । তিনি ওই এলাকার মৃত ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী।মঙ্গলবার তার বাড়িতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাড়িতে তার মেয়ে ও মেয়ের স্বামী ছিলেন । প্রথমে তাকে মারধর করা হয়।তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে মেয়ের জামাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল।এবং তার বাড়িতে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জসিম রামু ফতেকারকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নির্যাতনের শিকার জান্নাত আরার দাবি, স্বামী মারা যাওয়ার পর গত ১২ বছর ধরে জসিম তাঁকে নানানভাবে নির্যাতন এবং হয়রানি করে আসছেন। তাঁরা মূলত তাঁকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে চান।এবং তার জায়গাতে বিভিন্ন উপজাতের গাছপালা রয়েছে। এইসব গাছপালা নিজের নামে করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই

সময় তাদেরকে মারধর করা হলেও কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। কারণ ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরপরই এই কথিত বিএনপি নেতা জসীম উদ্দীন ওই এলাকায় গিয়ে বিধবা নারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে । মূলত ঘটনাটি করে যাচ্ছে বারবার। বিধবা নারীর স্বামী এক যুগ আগে মালয়েশিয়ায় চলে যায়। ওই সময় তার স্বামীর মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিধবা নারীর জায়গা সম্পত্তি এবং গাছপালা সে ভোগদখলে রাখার জন্য একটি স্টাম্প নিয়ে দাবি করে যাচ্ছে। ওই স্ট্যাম্পে লিখা রয়েছে একযুগ আগে তার আকাশমনি মেহগনি বিভিন্ন উপজাতি প্রায় ১১৭ টি গাছ ৩০০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছিল। এইসব দেখভাল দায়িত্বে থাকবে যিনি ওই বাড়ির মালিক। এসব গাছগুলো পরিচর্যা থেকে শুরু করে বড় করার দায়িত্বও এই বিধবা নাীর রয়েছে। ২০২৫ সালে পরিপূর্ণ হওয়ায় স্ট্যাম্প অনুযায়ী এই গাছগুলো বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন কেটে নিয়ে আসতে চায়।তবে সচেতন মহলের দাবি এই এসটামটি ভূয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।যেমন  প্রমাণস্বরূপ হলো এই স্ট্যাম্পে কোন ধরনের সাক্ষীদের কোন স্বাক্ষর নেই তেমনি মৃত ফিরোজ আহম্মদ মৃত্যু হওয়ার একযুগ পরপরই এই স্ট্যাম্পের কোন মূল্য নেই। সুতরাং এই কাগজটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

এই বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী বিধবা নারী জানান,তার স্বামী প্রায় এক যুগ আগে মৃত্যুবরণ করে। হুট করে রামু থেকে এক ব্যক্তি আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করতে চাই। আমাদের জমির উপর কয়েক শতাধিক বিভিন্ন ধরনের গাছপালা  রয়েছে। এসব নাকি তাকে বিক্রি করেছিল এক যুগ আগে। এর আগে কোনদিন গাছের লেনদেন হয়েছে বা টাকা দিয়েছে আমাদেরকে বলেনি।সরকার পতন হওয়ার পরে এই জসিম নামের ব্যক্তি আমাদের নির্যাতন করে যাচ্ছে। বর্তমানে আমার ছোট ছোট মেয়েদেরকে নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।আমরা এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। 

এই বিষয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সহ সভাপতি জাবেদ ইকবাল জানান,রামুতে বিধবা নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে আমরা জানি না।আসলে এটি একটি নেককারজনক ঘটনা। আর কেউ যদি বিএনপি'র নাম দিয়ে চাঁদাবাজি বা অ৳১২ওওওওক্ব৳ঁ্ব%ও%৳1পারাদের সাথে জড়িত থাকে।তার বিরুদ্ধে দলের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এই বিষয় নিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান,

কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের যে বিধবা নারীকে মারধর করা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে থানায় কোন ধরনের অভিযোগ বা এজাহার জমা দেওয়া হয়নি। যদিও বা থানায় কেউ এসে অভিযোগ জমা দেয় আমরা তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ