এছাড়া, সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাম মোহন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মোঃ মুজিবুল হক মুনির( হেড অফ সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট, আরডিআরএস বাংলাদেশ), মোঃ আশরাফুল আলম (টিম লিডার, আরডিআরএস বাংলাদেশ, কক্সবাজার), মোঃ নাজমুল হুসাইন (গবেষণা সহযোগী, আরডিআরএস বাংলাদেশ, কক্সবাজার) এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
আরডিআরএস বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দা নূরে নাবিলা তাবাসসুম সভায় "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার সমতা ও স্বাস্থ্যবিধি" বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "শিক্ষায় জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। আমরা আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সমতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই।"
এ সভায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার সমতা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে। সকল বক্তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাইজিন নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রামমোহন তাঁর বক্তব্যে বলেন, "শিক্ষায় জেন্ডার সমতা ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি পাশাপাশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। সঠিক হাইজিন নিশ্চিত হলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে, যা তাদের শিক্ষা অর্জনে সহায়ক হবে।"
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, "হাইজিন ও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার একটি অপরিহার্য অংশ। যদি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে, তবে তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।"
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে জড়তা ও দুর্বল মনের মানসিকতা দুর করে একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষকদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এমন কর্মকান্ড থেকে সকলকে ফিরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। আরডিআরএস বাংলাদেশ বিষয়গুলো চিহ্নিত করে শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের গবেষনাধর্মী এ প্রকল্প এগিয়ে নিতে পারে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া, এনজিও প্রতিনিধিরা শিক্ষায় জেন্ডার সমতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং হাইজিন ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
এ সভাটি কক্সবাজারের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়ন এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ