মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শ্রীমুরা এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম এর সাথে জান্নাতুল ফেরদৌস এর বিয়ে হয়েছিল ২০১২ সালে সেই থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসে তাদের বিবাহ বন্ধন টি ভেঙ্গে যায়। এক পর্যায়ে তাদের ডিভোর্স হয়। তবে জান্নাতুল ফেরদৌস ময়মনসিংহ এর বাসিন্দা এনামুল হক নামে একজন ছেলের সাথে নোটারি মূলে বিবাহ হই।তবে বিবাহ হওয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের বন্ধনটি ভেঙ্গে যায়।এই বন্ধন ঠিকাতে না পেরে তার বাপের বাড়ি লিংক রোডে বসবাস করে যাচ্ছে। তবে তার প্রথম স্বামীর অধীনে ৩ টি সন্তান রয়েছে।একটি সন্তান শ্রীমুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।গেল ২৯ তারিখ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস সহ কয়েকজন মহিলা ধরে নিয়ে যেথে চেয়েছিলেন এমন অবস্থায় এলাকাবাসী ও ওই স্কুলের প্রহরী এই মেয়েটিকে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে স্কুলে ফিরিয়ে দেয়। তাকে তুলে নিয়ে যেতে না পেরে উল্টো মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জান্নাতুল ফেরদৌস এর বিরুদ্ধে। বর্তমানে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাই এবং আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে রামু থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এলাকাবাসীদের একটি দাবি যে এই মামলাতে নিরীহ লোকজনদেরকে আসামি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান যেন প্রকৃত ঘটনাটি বের করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
এই বিষয় নিয়ে শহিদুল ইসলামের পিতা: মোঃ আলম জানান,আমার বড় ছেলে শহিদুল ইসলাম এর সাথে লিংক রোড এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরীদের সাথে বিবাহ হয়। তারা দীর্ঘ বছর সংসার করে আসছিলেন গত বছর আমার ছেলে বিদেশে চলে যায়।তখন থেকে আমার ছেলের বউ বিভিন্ন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।গত বছর এবং ময়মনসিংহ জেলার একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। অথচ তার থেকে তিনটি সন্তান রয়েছে।এই মেয়েটি আরেক জনের হাত ধরে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েক মাস ঘর সংসার করলেও পরে এসে তাদেরও সংসার ভেঙ্গে যায়।ওই সংসার ভেঙ্গে যাওয়া সুবাদে আমার ছেলের বউ তার বাপের বাড়িতে চলে আসে। সম্প্রতি গত ২৯ তারিখ আমার নাতনী সানিয়া নুসরাত তানিশাকে স্কুল চলাকালীন ও ইস্কুলের বারান্দা থেকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রহরী উদ্ধার করে নাতনীকে স্কুলে ফিরিয়ে দেয়।এই ঘঠনাকে কেন্দ্র করে তারা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে রামু থানায় নএকটি মামলা করা হয়েছে। আমার একটি দাবী প্রশাসন মামলাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত প্রকৃত ঘটনাটি উদঘাটন করার জন্য। তবে এই মামলাতে প্রবাসী সহ অনেক নীরহ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে ফরিদুল আলম জানান আমি দীর্ঘ বছর ধরে শ্রীমুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এখানে সকল ছাত্রছাত্রী স্কুল চলাকালীন কে কোথায় যাচ্ছে এবং ক্লাস ফাঁকি দিচ্ছে এবং স্কুলের স্বার্থে আমি নিয়োজিত রয়েছি। গেল ২৯ তারিখ স্কুল থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া তানিশাকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তাকে উদ্ধার করি পরে দেখি এটিকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তবে তাদের মাঝে সংসার ভেঙে যায় এসব আমি এলাকাবাসী হয়ে জানি। তার মায়ের সাথে এবং বাবার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।এবং তার বাবা ডিভোর্স দেয়। তবে এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই।
এই বিষয় নিয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান,আমরা শ্রীমুরা এলাকার একটি ঘটনা নিয়ে থানায় একটি এজাহার জমা নিয়েছি। তবে এই ঘটনাটি সুস্থভাবে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনাটি বের করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
0 মন্তব্যসমূহ