আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ৫ই আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলা এবং নির্যাতন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দেশব্যাপী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ও পাহাড়ি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। তাদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এবং ধর্মীয় উপাসনালয় আক্রমণের মুখে পড়েছে। সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফলে দেশজুড়ে নেমে এসেছে অস্থিতিশীলতা, আর সংখ্যালঘুদের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নৃশংস হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমার প্রশাসনের আমলে এই ধরনের ঘটনা কখনই ঘটতে দিতাম না। বর্তমান প্রশাসনের উদাসীনতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে সংখ্যালঘুরা আজ অবহেলিত ও নির্যাতিত।”
ট্রাম্প আরও জানান, ক্ষমতায় ফিরে এসে তিনি “শক্তির মাধ্যমে শান্তি” ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষায় উদ্যোগী হবেন। তিনি আরও বলেন, “আমার প্রশাসন উগ্রপন্থী বামপন্থী ধর্মবিরোধী এজেন্ডা প্রতিহত করবে। আমরা আপনার ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য সর্বাত্মকভাবে লড়াই করব।”
https://x.com/realDonaldTrump/status/1852033622494105832?t=5wQmwWgi2HURmOlDCp-uUw&s=19
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে ট্রাম্প জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের বিবৃতি বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন এক দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকারকর্মীরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ