দুদকের জালে আটকে গেলেন কক্সবাজারে সাবেক জেল সুপার ও তাঁর স্ত্রী


আব্দুল আলীম নোবেল, কক্সবাজার: অবৈধভাবে ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে কক্সবাজার জেলা কারাগারের সাবেক জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ ও তাঁর স্ত্রী নাছিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হুমায়ূন বিন আহমদ।বজলুর রশিদ আখন্দের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায়। তাঁর স্ত্রী নাছিমা সুলতানার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শেখেরগাঁও এলাকায়। দুজনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটি দুদক তদন্ত করবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নাছিমা সুলতানা দুদকের ইস্যু করা সম্পদ বিবরণীর ফরম গ্রহণ করেও বিবরণী দাখিল করেননি। স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রেখে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে ভোগদখলে রাখার সত্যতা পাওয়া গেছে

দুদক জানায়, অনুসন্ধানকালে দুদকের তদন্তকারী নাছিমা সুলতানার নামে ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৯ টাকার স্থাবর ও ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পান। দায় ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৬ টাকা বাদ দিলে নাছিমা সুলতানার অবৈধ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩০১ টাকা। এ সময় তাঁর পারিবারিক ব্যয় পাওয়া যায় ১০ লাখ ১১০ টাকা। তা বাদ দিলে থাকে ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪১১ টাকা। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে নাছিমার আয় পাওয়া যায় ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু আয়কর নথিতে ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর দিলেও নাছিমার নামে কোনো ট্রেড লাইসেন্স, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসাসংক্রান্ত কোনো নথিপত্র পাওয়া যায়নি। তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ টাকা। নাছিমা গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায়ী পরিচয়ে তাঁর স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে করা আয় বৈধ করার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি দুদকের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ