সিটি কলেজ শিক্ষার্থীকে হামলা ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ


 মো: শাহেদুল ইসলাম 'ত্বোহা': চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০২০-২১) ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: ফখরুল ইসলাম 'ফাহিম'কে গত ২০.১০.২০২৪ইং তারিখ নিজের বিভাগে একটা ব্যক্তিগত কাজে যায়। বিভাগের অফিস সহকারী 'শ্যামলের' থেকে কাজ সেরে বের হয়ে চলে আসার সময় তাকে শহিদ মিনারের সামনে হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত সরকারি সিটি কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী 'ফাহিম'কে আটক করে, জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি ও মারধর করে।

চট্টগ্রাম সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, আসলে ঘটনাস্থলে আমরা ছিলাম। সবই দেখছি ফাহিম'কে কিছু আমাদের কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সম্বন্ধয়ক ও সহ-সম্বন্ধয়ক পরিচয় দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী 'ফাহিম'কে বেশি অপমান করেছে এবং জোর পূর্বক জিম্মি করে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে ভিড়িও আকারে  স্বীকারোক্তি নিয়েছে। আর টর্চার রুমে নিয়ে গিয়ে খুব জঘন্যভাবে আগাত করেছে। ওখানে আমরা ঢুকতে চাইলে, আামাদেরকে ঢুকতে দেয় নাই এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। আরো ওদের পোলাপান এসে আমাদেরকেও বিভিন্ন হুমছি দিয়েছে।  ফাহিমের হয়ে যে কথা বলতে আসবে তাকে ও নাকি মারবে এইভাবে আমাদেরকে হুমকি দেয়।

ফাহিম জানান, "আমি গত ২০.১০.২০২৪ইং তারিখে আমার বিভাগে একটা ব্যক্তিগত কাজে গেছিলাম বিভাগের অফিস সহকারী শ্যামল দাদা থেকে কাজ সেরে বের হয়ে চলে আসার সময় আমাকে শহিদ মিনার এর সামনে হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোল এর সমন্বয়ক সহ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ওরা আমাকে আটক করে বলতেছে তোমার সাথে কথা আছে অনেক হিসাব আছে সংসদে চলো তখন আমি সংসদে যেতে রাজি ছিলাম না আমাকে টেনে হিছড়ে সংসদে নিয়ে যায় ভিতরে ঢুকায় দরজা নক করে দে আমার হাতের মোবাইল নিয়ে নে আমার মোবাইলের বিভিন্ন ডকুমেন্ট চেক করে ওরা ওদের মোবাইলে অনেক কিছু ডকুমেন্টস ওদের মোবাইলে নিয়ে নে কিছু ছেলে আমাকে গায়ে হাত তুলে মারধর করে,এরপর আমি কলেজে কার অনুমতি নিয়ে গেছি কার ইন্ধনে গেছি কেন গেছি কোন সাহসে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকছি এইসব বলে বলে আমাকে বিভিন্ন জনে হাত তুলতে থাকে অনেকেই পাইপ নিয়ে মারতে আসে অনেকেই লাটি সুটা নিয়ে মারতে আসে ভয়ভীতি দেখায় আমাকে পুলিশে দিয়ে দিবে হুমকি উল্টাপাল্টা কিছু বললে জান নিয়ে বের হতে পারবি না এইসব হুমকি দে আমাকে,আমাকে প্রায় ২ঘন্টা মতো সংসদে আটক করে এক একটা টর্চার করলো,পরে আমাকে সংসদ থেকে বের করে শহিদ মিনারের উপর দাঁড় করায় ওরা আমাকে শিখায় দিছে জীবনে ছাত্রলীগ করবা না বলবা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবা কোনো হয়রানি করে নেই বলবা কোনো টর্চার করে নেই বলবা বিগত রাজনীতি যা করছো তার জন্য ক্ষমা চাইতে বলছে ওরা এই সব ওদের মোবাইলে বিড়িও করে,এর পরবর্তী আমার ফেইসবুক আইডির নাম্বার সহ পাসওয়ার্ড দিতে বলছে আমি হাত জোর করে ওদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আইডি নাম্বার পাসওয়ার্ড দি নেই কিছুদিনের জন্য আমার ফোন রেখে দিতে চেয়েছিল পরবর্তী কে একজন বলছে দিয়ে দিতে তখন আমার ফোন আমাকে ফেরত দিছে তারপর আমি আমার বাসায় ফিরে আসি।

এই বিষয়ে ফাহিমের সাথে থাকা সহপাঠীদের থেকে জানতে চাইলে, তাঁরা জানান: "আমাদের কলেজের কিছু শিক্ষার্থী আমাদের কলেজ শাকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সম্বন্ধয়ক ও সহ-সম্বন্ধয়ক পরিচয় দিয়ে আমাদের সহপাঠী ফাহিমের মোবাইল নিয়ে নেই এবং বিভিন্ন কিছু ফাহিমের মোবাইল হতে ওদের মোবাইলে ছবি তুলে নেয়। এমনকি একপর্যায়ে গিয়ে ফাহিমের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিভিন্ন স্বীকারোক্তি নেয় ও তাকে মারধরও করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ