বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদের পর মসজিদের পরিচালনা কমিটির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে আলমগীরকে হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তবে আলমগীর দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে এই ধরনের কাজের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। আলমগীরের ভাষায়, এটি একটি হাস্যকর ষড়যন্ত্র। এলাকার কিছু কুচক্রী মহল সরকারের পতনের পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
মসজিদের পরিচালনা কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আলমগীরকে বিভিন্ন অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে তার দাবি। গত সোমবার গভীর রাতে ওই এলাকায় ২ টার দিকে স্থানীয় হানিফ নামের এক বৃদ্ধের মুদির দোকান ভাঙচুরের ঘটনায়ও আলমগীরকে দোষারোপ করা হয়। তবে আলমগীর জানান, দোকানের জায়গাটি তার পৈতৃক সম্পত্তি এবং কিছু অসৎ লোক এ সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
গত বুধবার দুপুর ২টায় ডেইঙ্গাপাড়া জামে মসজিদের সামনে একটি মানববন্ধন করা হয়, যেখানে আলমগীরকে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তবে আলমগীর বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই এবং থানায় তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি। তার দাবি, এই মানববন্ধন তার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
বৃদ্ধ হানিফের দোকান ভাঙচুরের ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে, ঘটনার সময় একদল সন্ত্রাসী তার দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হানিফের ভাষায়, তারা মসজিদের ইমাম মোবারকের নেতৃত্বে এ হামলা করে এবং দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হানিফ বলেন, দোকানের জায়গাটি আলমগীরের পৈতৃক সম্পত্তি হওয়ায় এটি দখল করার উদ্দেশ্যে এ ষড়যন্ত্র চলছে।
ডেইঙ্গাপাড়ার স্থানীয় এক ব্যক্তি, যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি, জানান, আলমগীর মসজিদ কমিটির দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মসজিদের ইমামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে দাবি করেন তিনি। তবে তার মতে, এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না এবং সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।
অভিযুক্ত আলমগীর বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি। মসজিদ কমিটির দুর্নীতি চোখে পড়ায় আমি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলাম। এর পর থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে আমি ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছি, তবে আমি দোষী হিসেবে এলাকাবাসীর শাস্তি মাথা পেতে নেব।
আলমগীর তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার দাবি করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের প্রতি ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন। হেলাল, পিতা: সৈয়দ নুর, ডেইঙ্গাপাড়া আবছার কামাল (জুনু), পিতা: সৈয়দ নুর নাছির, পিতা: আব্দু রহমান, ঝিলংজা জুবায়ের, পিতা: সৈয়দ আহাম্মদ নুরুল হাকিম, পিতা: মমতাজ, চাকমারকুল, মিজবাহ, পিতা: রহীম, ডেইঙ্গাপাড়া, শাহ আলম, ডেইঙ্গাপাড়া, জসিম উদ্দিন, পিতা: আবু বককর, ডেইঙ্গাপাড়া অজ্ঞাত ১০-১৫ জন সহ আরো অনেকেই জড়িত।
0 মন্তব্যসমূহ