কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব গর্জনতলী গ্রামে সিফাতের বাড়ি। তাঁর পিতার নাম ছদরুল ইসলাম। সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এতে তাঁর পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
সিফাতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতা এক হয়ে গণ-অভ্যুত্থানের রূপ নেয়। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে সিফাত আমাকে ফোন দিয়ে বলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। আন্দোলনের সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হওয়া ও আহত হওয়ার কথা জানান। এ সময় কিছু টাকা পাঠাতে বলেছিল। ওই দিন তাঁকে টাকা পাঠানোর জন্য ফোন দিই। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিফাত ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সাভারে বন্ধুদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি, ৪ আগস্টের পর থেকে তাঁকে দেখা যাইনি বলেও জানিয়েছে। আমার পিতা সিফাতের খোঁজ নিতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আমার মা ছেলের সন্ধান না পেয়ে শোকে পাগলপ্রায়।
0 মন্তব্যসমূহ