পেতা সওদাগর মসজিদের দুর্নীতিবাজ কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের পেতা সওদাগর জামে মসজিদের দুর্নীতিবাজ কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৮ টায় বৃহত্তর পেতা সওদাগর পাড়ার ছাত্র—জনতা এই প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজন করে।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক মমতাজ মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ সেবক ও দানবীর নাসির চৌধুরী। তিনি বলেন, আল্লাহর ঘর নিয়ে যারা অনিয়ম—দুর্নীতি করছে, তাদের স্থান ইহকাল ও পরকাল কোন জায়গায় হবে না। সমাজের আপামর জনতা তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। এই দুনীর্তিবাজ কমিটি যতোদিন থাকবে এলাকার লোকজন সেই মসজিদে যাবে না। তাই এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এখানে একটি নতুন মসজিদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মসজিদের জন্য আমি ৫ গণ্ডা জায়গা ও রেজিষ্ট্রির টাকাসহ যাবতীয় সহযোগিতা করে যাবো।

সমাবেশে উপদেষ্টার বক্তব্যে লিয়াকত আলী চৌধুরী ভুট্টো বলেন, ২০১৩ সালে মরহুম বদিউল আলম এই মসজিদের দায়িত্ব আমাকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি সকলের পরামর্শে ৩২ জনকে নিয়ে একটি সুন্দর মসজিদ পরিচালনা কমিটি করি। সেসময় মসজিদটি ছিল টিন ও বেড়ার। বৃষ্টি দিলেই মসজিদের অবস্থা বেহাল হয়ে যেতো। পরে এলাকার সবার প্রচেষ্টায় এটিকে পাকা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফেজ আহমদ, সিনিয়র সহ—সভাপতি জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ও কামাল পাশাসহ সিন্ডিকেট করে মসজিদকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে। মসজিদের মাছের প্রজেক্ট, জমিজমাসহ যাবতীয় সম্পদ তারা সভাপতির প্রভাব খাটিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া মসজিদের জমি অধিগ্রহণের প্রথম ধাপে ১৮ লাখ ও দ্বিতীয় ধাপে ৪৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে তারা জানে আলমের ব্যক্তিগত একাউন্টে জমা রাখে। সেই টাকা তারা নিজেদের ব্যবসা ও সুদ বাণিজ্যে ব্যবহার করে। তাছাড়া মসজিদের জমির বিক্রি বাবদ ১১ লাখ টাকাও তারা সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়। এরপর মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা গফুরের ৪৯ লাখ জমি বিক্রির টাকাও তাদের একাউন্টে রেখে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। গত ১৬ আগস্ট এই অনিয়ম—দুর্নীতির টাকার হিসাব চাইতে গেলে মসজিদটি তাদের বাপ—দাদার সম্পত্তি বলে উল্লেখ করে মুসল্লীদের লাঞ্চিত করা হয়। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া করায় মসজিদের ইমামকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তাই নিরূপায় হয়ে এলাকাবাসী নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশেষ উপদেষ্টা হাজী আবু তাহের, মুহম্মদ ইউছুফ সওদাগর, আবদুল ওয়াহেদ সওদাগর, মোহাম্মদ জাফর আলম, মোহাম্মদ ফিরোজ, মোহাম্মদ শামসুর রহমান, মো. গোলামুর রহমান, সাহাব উদ্দিন, মো. সবিউল হক, নুরুল আজিম, মুজিবুর রহমান, নাছির উদ্দিন, হাবিব উল্লাহ ডালিম, মোহাম্মদ সেলিম, আবুল কালাম ও মোহাম্মদ আউয়াল।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মো. নোমান. সওয়ার হোসেন, মো. রুমান, আবু বক্কর, মো. ফারুক, মো. করিম, আবুল হোসেন ও মো. আজিজ। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ