প্রসঙ্গতঃ ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি—জামাত জোট সরকারের শাসনামলে এলাকায় ভূমি দখলের মাধ্যমে হাজী শাহাজাহানের উত্থান। দলের নাম ভাঙিয়ে সমাজের সকল অপকর্ম বালুর মহল দখল, দোকান দখল, জমি দখল, পুকুর দখলসহ তার নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ১ বিঘা জমি দখল করে বহুতল ভবন করার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে নিজের জন্য রাজপ্রাসাদ করেছেন মুন্সিপাড়া এলাকায়। তৎসময়ে অসামাজিক কার্যাকলাপ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে একাধিক বার ত্রাস শাহজাহান জেলে যান। এখানে উল্লেখ্য যে, বন্দর থানাধীন মুন্সিপাড়া এলাকায় ছত্তার হাজীর বাড়ি সংলগ্ন শতবষীর্ পুকুর ভরাট করে জোরপূর্বক তার দখলে নেওয়ার অভিযোগ বিভিন্ন পত্র—পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। শতবষীর্ পুকুর দখল করে বসবাড়ী নির্মাণের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তর তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই বলে এলাকাবাসী জানাই। সরেজমিন তদন্ত করে আরো জানা যায় বন্দর থানাধীন ৩৭ নং ওয়ার্ড মুন্সিপাড়া এলাকার মরহুম ছত্তার হাজীর নাতি এবং মরহুম মোঃ সোলেয়মানের তৃতীয় সন্তান ভূমিদস্যু হাজী শাহজাহান। প্রসঙ্গতঃ ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর দৈনিক আজাদী এবং চলতি বছরের ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই দৈনিক সরেজমিন পত্রিকায় হাজী শাহজাহানের বিরুদ্ধে অপকর্ম করার দায়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাহত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসী শাহজাহান একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ। তার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সরকারের সময়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভূমি দখল করে বিক্রি করা। এছাড়া বিভিন্ন ধমীর্য় সংস্থার নাম ব্যবহার করে নিজেকে সমাজের সর্দার ও সমাজপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন শাহজাহান। বন্দর মুন্সিপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ এসকান্দর বলেন ভূমিদস্যু শাহজাহান মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলের নামে সরকারি অনুদান আত্মাসাৎ সহ জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে তার সিন্ডিকেট সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে চলেছে। এ রিপোর্ট লেখার প্রাক্কালে স্থানীয় জনসাধারণরা ত্রাস ও ভূমিদস্যু হাজী শাহজাহানকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃর্ক গ্রেফতার ও কঠিন শাস্তির দাবি জানান। এ প্রতিবেদন তদন্তের ভিত্তিতে দ্বিতীয় কিস্তি শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
0 মন্তব্যসমূহ