মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিজয় মিছিল শেষে রাত ১১টার দিকে পৌর বিএনপি নেতা শফিউল আলম উপজেলা সদরের গোরকঘাটা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বড় মহেশখালী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এর মধ্যে বানিয়ার দোকানের সামনে পৌঁছালে সড়কে আগে থেকে উৎপেতে থাকা স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, মহেশখালীতে বিএনপির দুটি পক্ষ আছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক। আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ। শফিউল আলম আবু বকর সিদ্দিকের অনুসারী ছিলেন। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের বলি হলেন শফিউল আলম।
তবে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।
0 মন্তব্যসমূহ