থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার পশ্চিম শ্রীপুর এলাকার সাগর মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঐ কিশোরীর পথরোধ করে উত্যক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ২৮ জুন দুপুরে ঐ কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে কিশোরীর গোসলের ভিডিও মোবাইলে ধারনের চেষ্টা করলে কিশোরী বিষয়টি বুঝতে পেরে সাগর মিয়াকে ভিডিও করতে বাঁধা প্রদান সহ তার বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এসময় বিবাধী সাগর মিয়া আরও তিনজনকে সাথে নিয়ে এসে কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে সাগর মিয়ার নানির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে কিশোরীকে মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে কিশোরীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে কিশোরীর চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ কর্মরত ডাক্তার ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন বর্তমানে কিশোরী চিকিৎসারত আছেন।
অনুসন্ধানী নিউজ করতে রূপান্তর বাংলার প্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে, প্রত্যক্ষদর্শী গনের সাক্ষ্যতে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী ও বিবাদীর আত্মীয় জনাব মজিবুর রহমান, জনাবা রেজিয়া বেগম, লিপি বেগম, এবং পাশের বাড়ির মোঃ হাসেম আলী, বলেন, ভিকটিমের বাড়িতে ঘটনার সময় কোন পুরুষ ও যোবক মহিলা ছিলেন না বাড়িতে বয়োজ্যেষ্ঠ একজন বৃদ্ধ মহিলা ছিলেন, একটি বাচ্চা মেয়ের সাথে অন্যায় করা হয়েছে,পাশের বাড়ির হাসেম আলী বলেন, মেয়েটিকে একা পেয়ে তারা যা করল কাজটা ঠিক করে নাই, উঠতি বয়সের মেয়ে মেয়েটির মাথায় হয়তো আঘাতের কারনে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে, সাগরের নানী ডালিমা বেগমের মাথা ফাটার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঝগড়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম মেয়েটির সাথে হাতাহাতি মারামারি হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু কোন মাথা ফাটাফাটি হয় নাই, সেটা আমি দেখি নাই, আমি মনে করি মেয়ের মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য হয়তো তারা সুকৌশলে পাল্টা অভিযোগ দাখিল করেছেন।
কিশোরীর পিতা তিনিও রূপান্তর বাংলাকে অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার মেয়েকে মারধর, শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করলো, শিলতাহানি করে মামলার হাত থেকে বাঁচার জন্য নিজেরাই ঘটনা সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। আমি ভিকটিবের বাবা আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের মানসিক শারীরিক যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন আর কারো না হয় এ ঘটনার সুস্থ বিচার দাবী করছি।
অভিযুক্ত সাগর মিয়ার মা ঘটনাটি অস্বীকার করে উল্টো তাদের উপর হামলার জন্য তফাজ্জল হোসেনের পরিবারকে দায়ী করেন।
রূপান্তর বাংলা কল্পনা বেগমকে প্রশ্ন করেন ঘটনার সময় তোফাজ্জল হোসেন ও তার স্ত্রী লিপি আক্তার বাসায় ছিলেন না, ভিকটিম তামান্না ও তার বয়োজ্যেষ্ঠ দাদি ছাড়া, তাহলে আপনাদেরকে একজন শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ বৃদ্ধ মহিলা কি করে মারধোর হামলা করলো, কথার উত্তর দিতে না পেরে নিরব হয়ে যান।
এ ঘটনার বিষয়ে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে রুপান্তর বাংলা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।
0 মন্তব্যসমূহ