চবিতে প্রথম আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় তরুন লেখক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত


নিজস্ব প্রতিবেদক: লেখার মেলবন্ধনে, একত্রিত হও লেখক বন্ধু" এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তরুণ ও মেধাবী লেখকদেরকে একত্রিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত ০২ দিনব্যাপী 'আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় তরুণ লেখক সম্মেলন- ২০২৪' এর প্রথম দিনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) বানিজ্য বিভাগের অর্ডিটরিয়ামে।

প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরুণ কলাম লেখক ফোরাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইত্তেখারুল ইসলাম সিফাতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.টি. এম. পেয়ারুল ইসলাম,প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক, নাট্যকার  বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদক সাংবাদিক আনিসুল হক, প্যানেল আলোচক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, চবি বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক রাশেদ রউফ ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা লেখালেখির বিষয়ে তরুনদের উৎসহ দিয়েছেন,পাশাপাশি কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্ন-উত্তর পর্ব অনুষ্ঠানকে আরো সৌন্দর্য-মন্ডিত করেছে।

লেখক আনিসুল হক বলেন, আমাদের আশাবাদী হওয়ার অনেক জায়গায় রয়েছে এর মধ্যে লেখক ফোরাম অন্যতম। মানুষ গবেষণা পরিশ্রম এবং পড়াশোনার মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারে। লেখক আর পাঠকের পার্থক্য রয়েছে। পাঠকরা পড়ে মুগ্ধ হয়, অপরদিকে লেখকরা কোনো বিষয় পড়ে মুগ্ধ হয় এবং চিন্তা করে। পড়ার মাধ্যমে লেখক হতে হবে। লেখকের পূর্বশর্ত পড়া। পড়ার বাইরে কেউ লেখক হতে পারে না। পবিত্র কলম দিয়ে আমরা যেন মানুষের উপকার করতে পারি এনং পৃথিবীতে লেখার মাধ্যমে ফুল ফোটাতে হবে তোমাদের তরুনদের।

সম্মেলনের এক পর্যায়ে প্যানেল আলোচনা হয়।

প্যানেল আলোচনায় বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, কলাম লেখকরা সমাজের সমস্যাগুলো সমাজের মানুষ দেশ, রাষ্ট্র এবং সরকারের কাছে লেখনীর মাধ্যমে  তুলে ধরেন।প্রধান অতিথি পেয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক,স্বাধীনতার চেতনায় আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এ লক্ষ্যে নিয়েই আমরা সরকারি চাকুরীজীবি হবো, কবি ও সাহিত্যেক হবো। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল এবং মাদকের প্রতি যে আসক্তি সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে ও সচেতন থাকতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ