আব্দুল আলীম নোবেল /শফিকুল ইসলামঃ
আসন্ন ৬ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩য় ধাপে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৯ মে।
নানা কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত উপজেলায় এই বারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ৯ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী। সব প্রার্থীরা যে যার মতো নির্বাচনে
জেতার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। ইতোমধ্যে তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের গণজোয়ারে জয়ের পথে জাফর আহমদ এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা।
সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে র্যাব,পুলিশসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজর দারি বৃদ্ধি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
অপর দিকে প্রিসাইডিং ও পুলিং এজেন্টরা একটি জনসম্পৃক্তামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টার কোন কমতি নেই বলে জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম তিনিও টেলিফোন মার্কায় জেতার জন্য জোরালোভাবে মাঠে লড়াই করে চলছে।
টেকনাফ ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্য, একই ইউনিয়নের প্রতাপশালী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আহমদ আনারস মার্কায় নির্বাচনে জিততে মরণ কামড় দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে এবং তাঁর ছেলে দিদার মিয়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাঁর আরেক ছেলে শাহাজান মিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
নানা কারণে আনারস মার্কার প্রার্থী জাফর আহমদ এগিয়ে রয়েছে তার অন্যতম কারণ বলে অনেক ভোটার মত প্রকাশ করেছেন উখিয়া টেকনাফের বর্তমান সাংসদ শাহিন আক্তার ও আব্দুর রহমান বদির গ্রুপের অন্যতম সদস্য জাফর আহমদ। স্থানীয় রাজনীতির নানা কুটকৌশলে আনারস মার্কার প্রার্থী জাফর আহমেদ কে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান বদি নিজেই ভোটারদের দ্বারেদ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন।
এই লড়াইয়ের জিততে বিভিন্ন কায়দা-কৌশলে একটি শক্ত মাঠ তৈরি করেছেন তারা। স্থানীয় সচেতন ভোটার আব্দু রহিম জানান, জাফর আহমদের ভোটের পাল্লা অনেক ভারি, ভোটারদের গণজোয়ারে জয়ের পথে আনারস।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্পন্ন করতে প্রার্থীরাও প্রস্তুত । ২৯ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৪২০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯১ হাজার ৮৮০ এবং নারী ৮৮ হাজার ৫৩৮ ভোট। ভোটকেন্দ্র ৬০টি।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তাঁরা হলেন নুরুল আলম (টেলিফোন), জাফর আহমদ ( আনারস) ও জাফরের ছেলে দিদার মিয়া (মোটরসাইকেল)। শুরু থেকে দিদার মিয়া মাঠে নেই। বাবার পক্ষেই তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী লড়ছেন।
ভোটার আনোয়ারের দাবি
সফল জনপ্রতিনিধি ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, ৪০ বছর ধরেই রাজনৈতিক মাঠে বিচরন করা তিনবার ইউপি মেম্বার,একবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,একবার উপজেলা চেয়ারম্যান। এবং বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য একজন সংগ্রামী সফল নেতা জাফর আহমদ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ডিজিটাল প্রচার প্রচারণা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও পথসভা শেষ হয়েছে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন নির্বাচনের ভোট নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটার দের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাফর আহমদের পক্ষের কিছু কিছু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,বিভিন্ন ব্যাচের প্রতিনিধি টিমসহ সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা কাজ করে যাচ্ছেন।
সীমান্ত জনপদের স্থানীয় ভোটার সূত্রে জানা যায়, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাফর আহমদ এগিয়ে রয়েছেন মাঠের জরিপে।
তাদের মতে, কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়া যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে অনেক ব্যবধানে বিজয়ী হবেন জাফর। সাধারণ ভোটারেরা জানান, জাফর আহমদ ব্যক্তিগত,সামাজিক,রাজনৈতিক ইমেজ কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রমুখীই করতে পারলে বিজয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাবেনা কিন্তু।
নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে জাফর আহমদ বলেন, আমি টেকনাফ উপজেলাবাসীর জন্য সব সময় নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সুখে-দুঃখে আর আপদে বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম ও আছি। আবারও উপজেলাবাসীর সেবা করার জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি,আমার মার্কা আনারস।
উপজেলার ভোটারদের ঘামের মূল্য দেয়ার জন্য তাদের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহ্ সহায় হলে জনতার রায় নিয়ে টেকনাফ উপজেলার মানুষের পাশে থেকেই সেবায় নিজেকে নিবেদিত করবো।
স্থানীয় ভোটার আব্দুল রহিম জানান, বর্তমানে আনারসের পক্ষে ভোটের পাল্লা অনেক ভারী, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হলে তিনিই বিজয় হবেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসন একেবারেই নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজারের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলাম
বলেন, নির্বাচন
অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে চেষ্টার কোন কমতি থাকবেনা।
0 মন্তব্যসমূহ