অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাশেদ ও নিপা আক্তার সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। দীর্ঘদিনের মনোমালিন্য ও বিচ্ছেদের পর পুনরায় তারা ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব বাকলিয়া কালামিয়া বাজার বাইট্টেও আবদুল খালেকের বাড়িতে রাশেদ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নিতে এসময় রাশেদ বাড়িওয়ালীর নিকট নবাগত বিবাহের কাবিন ও তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেন। কিন্তু সে ভাড়া বাসায় ৪ মাস থাকার পর হঠাৎ দুই মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া রেখে ৬ মে রাত ১টায় পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রাশেদ। কিন্তু রাতে তার স্ত্রী ঘুমালে স্ত্রীর হাতে থাকা আড়াই ভরি ওজনের দুইটি স্বর্ণের বালা, দেড় ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও ১২ আনা ওজনের দুটি কানের দুল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত বাড়ির বাড়িওয়ালী বলেন, রাশেদ নামের ওই ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেয়। কিন্তু দুই মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া রেখে তিনি পালিয়ে যান। পরে বাসা ভাড়ার জন্য তাকে ফোন দিলে তিনি (রাশেদ) ওই নারী তার স্ত্রী না বলে জানান। বলেন, ওই মেয়েকে আপনি বাসা থেকে বের করে দিন। ওই নারী আত্মহত্যা করলে আপনি ফাঁসবেন। ওই মেয়ের সাথে আমি সংসার করেছি ঠিকই, কিন্তু সে আমার বউ না। আমি তাকে অনেক আগে তালাক দিয়েছি।'
অভিযোগের সত্যতা জানতে মোঃ রাশেদকে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কথা না বলে তার আইনজীবীর এডভোকেট প্রকাশের কাছে মুঠোফোনটি হস্তান্তর করেন। পরে ওই আইনজীবী সাংবাদিকতা নিয়ে বিব্রতকর নানা অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন।
ভুক্তভোগী নিপা আক্তার বলেন, এই লোক প্রতারণাপূর্বক আমাকে একাধিকবার দেনমোহর না দিয়ে তালাক দিয়েছেন। স্বামীর প্রতি আমার দুর্বল মনের সুযোগ নিয়ে ব্ল্যাক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে বারবার তালাক ও দেনমোহর প্রাপ্তি দেখিয়েছে। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে আমার স্বর্ণালংকার সব চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি তদন্ত সাপেক্ষে আমার চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার চাই।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, চোরাইকৃত স্বর্ণালংকার ফেরত পেতে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় রাশেদকে যখন খোঁজাখুঁজি শুরু করে তখন রাশেদের নির্দেশে তার ছোট বোনের জামাই মোঃ জসীম ৭ মে রাতে ভুক্তভোগী নিপা আক্তারের ভাড়া বাসায় তাকে মামলা না করার জন্য হুমকি দিতে আসে। এ সময় ভুক্তভোগীর সাথে ওই লোকের দস্তাদস্তি হয়। এসময় ভুক্তভোগীর হাতে চোট লেগে রক্ত বের হয়। পরে প্রতিবেশীদের উপস্থিত টের পেয়ে ওই ব্যক্তি স্থান ত্যাগ করলে ভুক্তভোগী নিপা তাৎক্ষণিক এলাকার ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরের দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনরায় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে এ ঘটনায় দুজনকে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী নিজে উপস্থিত হয়ে পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, জসিম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর এলাকার মৃত আলহাজ্ব আনু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ঔষধ বিক্রেতা।
0 মন্তব্যসমূহ