স্থানীয় অরই হলা এলাকার চাকমা সম্প্রদায়ের লোক ভাকুইত্তুয়ার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, জাফর আলমের ঘর ডাকাতি করলে পরে সেটি স্থানীয় মেম্বার আবুল হাসেম বিচার করে দিলে রাতেই আবার ডাকাতি করে। বিভিন্ন সময় হোয়াইক্ষং শামলাপুর সড়কে ঢালা ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে।
বাবুলের ছেলে আব্দুল্লাহের শাশুর ইয়াবা চালান আনা নেওয়া করে আর এই বাহিনীর নেতৃত্বে ইয়াবার বিকিকিনি হয়। শুধু মাদক নয় তাদের হাতে ভারি অস্ত্র রয়েছে। রোহিঙ্গা অপহরণ সিন্ডিকেটের সাথে তাদের অতাত থাকায় এতেই তারা এত বেপরোয়া। কিছু হলেই প্রতিপক্ষের লেকজনকে ভাড়া করা রোহিঙ্গা
যুবতি নারী দিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভয়ের মধ্যে রাখে। জাফর আলমের মালিকানাধিন পাহাড়ের ভুলের ছড়া গোদা মৎস্য খামার দখল করে রাখার গুরুতর অভিযোগ এই বাহিনীর বিরুদ্ধে।
তাদের নির্যাতনে রেহায় পাচ্ছে না জন্মদাতা পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলমের পরিবার। গত কয়েক দিন আগে জাফর আলমের এনআইডি কার্ডসহ জমির কাগজপত্র কেড়ে নেয়।
পাহাড়ি এলাকায় বসত বাড়ি হওয়ায় বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে বাবুল মিয়া ও মান্নান বাহিনী , তাদের দলে রয়েছে একটি ভয়ংকর শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এমন কি অসংখ্য ভুক্তভোগী তার নির্যাতনের ভয়ে মামলা করতে সাহস পারছে না।
আব্দুল মান্নান, প্রকাশ ডাকাত মান্নান, বাবুল মিয়া,সোহেল, আব্দুল্লাহ, ফারুকসহ তাদেরকে নানা অপরাধে কৌশলে সহযোগিতা করে আসছে আরেফা,মুন্নি, হাসিনা।
তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। ইতোপূর্বে খোদ তাদের পিতাকে বিদেশী মদের বোতল ও অস্ত্রসহ মিথ্যা মামলা দেন।
ভুক্তভোগীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাবুল মিয়াদের বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন,জমি দখলসহ অর্ধ ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে যায় মামলা নং- জি আর ৩০৬/১৯ নারী ও শিশু নির্যাতন ৯৩/১৯ সি আর ১৪০/২৪ সিআর ১৩৩/২৪ এম আর ৪৮/২৪, সিআর ৭৪/২৪ অপরাপর ৪২/২৪ এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নামে বে নামে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম জানান, বাবুল মিয়া ও তার ভাইসহ এই পর্যন্ত আনুমানিক ৩০ কানি সম্পত্তির জবরদখল করে ভোগ দখল করে রেখেছে। সর্বশেষ জাফর আলমের ঘরের পাশে থাকা বেশ কিছু জমি তৃতীয় লিঙ্গ ইজরা সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বাবুল মিয়া ও মান্নান বাহিনী । ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা বলবত থাকলেও তাও মানছে না তারা।
তবে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে জাফর আলম একটি লিখিত আবেদন দেওয়ায় পরে সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আসলে থানা পুলিশ স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক(এসআই) রুবেল হাসান স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে একাধিক বার ডেকেও বসাতে পারেনি।
জাফর আলম আরো জানান, সম্প্রতি বাবুল মিয়াকে সম্পত্তি ছেড়ে দিতে বললে তার পিতাকে বার মারধর করে।
এমনকি তাহার সৎ মা জোবাইদাসহ তার ভাইয়ের ইয়াছিন স্ত্রীকেও মারধর করেছে। তারা কোন কিছু বললেই লম্বা কিরিচ দিয়ে মারতে তেড়ে আসে। প্রতিরাতে তার সাঙ্গপা্ঙগ নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগীর করা মামলা তুলে না নিলে লাশ গুম করার হুমকিও দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকই জানান, বাবুল মিয়া ও মান্নান বাহিনী বর্তমানেও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। মাদকের টাকা দিয়েই এলাকায় একটি রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। পাহড়ি এলাকা হওয়ার সুযোগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন সুযোগেটি কাজে লাগাচ্ছে তারা। তাদের সাথে রোহিঙ্গারা অপহরণ সিন্ডিকেটের সাথে দহরমমহরম সম্পর্ক রয়েছে। বাবুল মিয়া এ মান্নান বাহিনীর গ্রেফতার দাবি করছেন এলাকার সচেতন মহল।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মৌলানা নুর আহমেদ আনোয়ারি বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় অপরাধিদের শায়েস্তা করতে সহযোগিতা থাকবে। অভিযুক্তদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ