তার নির্যাতনে রেহায় পাচ্ছে না জন্মদাতা মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলমও
আব্দুল আলীম নোবেল: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলাধিন পাহাড়ি জনপদ হোয়াইক্ষং ডেইংগাকাটা এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বাবুল মিয়া। তার নির্যাতনে রেহায় পাচ্ছে না জন্মদাতা পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলমের পরিবার।
তার বিরুদ্ধে অর্ধ ডজনের বেশি মামলার আসামি সে। পাহাড়ি এলাকায় তার বসত বাড়ি হওয়ায় বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে বাবুল মিয়া, তার দলে রয়েছে একটি ভয়ংকর শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এমন কি অসংখ্য ভুক্তভোগী তার নির্যাতনের ভয়ে মামলা করতে পারছে না বলে জানান অনেক ভুক্তভোগী।
বিভিন্ন ভুক্তভোগীর তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, নারী ও শিশু নির্যাতন,জমি দখলসহ অর্ধ ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে যায় মামলা নং-
জি আর ৩০৬/১৯ নারী ও শিশু নির্যাতন ৯৩/১৯ সি আর ১৪০/২৪ সিআর ১৩৩/২৪ এম আর ৪৮/২৪, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নামে বে নামে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।
ভুক্তভোগী তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম জানান, বাবুল মিয়া ও তার ভাইসহ এই পর্যন্ত আনুমানিক ৩০ কানি সম্পত্তির জবরদখল করে ভোগ দখল করে আসছে।
সর্ব শেষ জাফর আলমের ঘরের পাশে থাকা বেশ কিছু জমি ইজরা সম্প্রদায়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বাবুল মিয়া। এই ঘটনায় ইতোপূর্বে স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে নালিশ করেও কোন সুরাহা পায়নি তিনি। এই জমির উপর ১৪৪ ধারা বলবত থাকলেও তাও মানছে না তিনি।
তবে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে জাফর আলম একটি লিখিত আবেদন দেওয়ায় পরে সেটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আসলে থানা পুলিশ স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক(এসআই) রুবেল হাসানের কাছে রয়েছে, তিনি কি সিদ্ধান্ত দেবেন এই নিয়ে বসে আছেন এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
জাফর আলম আরো জানান, সম্প্রতি বাবুল মিয়া সম্পত্তি তাকে ছেড়ে দিতে বললে একাধিক বার মারধর করেছে তার পিতাকে। এমনকি তাহার সৎ মাসহ তার ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করেছে। তারা কোন কিছু বললেই লম্বা কিরিচ দিয়ে মারতে তেড়ে আসে। প্রতিরাতে তার সাঙ্গপা্ঙগ নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে এমনটি অভিযোগ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে।
বাবুল মিয়া তাদের বলেন তার বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নিলে লাশ গুম করার হুমকিও দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে অসহায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকই জানান, বাবুল মিয়া বর্তমানেও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। মাদকের টাকা দিয়েই এলাকায় একটি রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে সে। পাহড়ি এলাকা হওয়ার সুযোগে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন সুযোগেটি কাজে লাগাচ্ছে সে। বাবুল মিয়ার গ্রেফতার দাবি করছেন এলাকার সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ