কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে খাগড়াছড়ি, এখন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে
সরকারি নিয়মানুযায়ী জনপ্রতি ৬০০০ থেকে ৬৩০০ টাকা করে ভেতন ভাতা ও বিভিন্ন আনুসাঙ্গিক খরচ সহ সর্বমোট প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ আসে মীরসরাই উপজেলায়। এই বরাদ্দ থেকে বেতন-ভাতা হিসাবে জনপ্রতি দেড় থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত পেলেও আনুসাঙ্গিক খরচের টাকা মোটেও পায়নি কেউ। বাকি ৫০ লক্ষ টাকা মত আনসার ভিডিপি'র প্রতিটি ইউনিয়ন কমান্ডার, দলনেতা ও নেত্রী থেকে শুরু করে ধাপেধাপে কোম্পানি কমান্ডার সিন্ডিকেট যোগে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে পকেটে ভরেন। আর এসব দুর্নীতির নেতৃত্বে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন মীরসরাই উপজেলার থানা কর্মকর্তা ধণ চরণ। এ বিষয়ে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গোপন সূত্রে, ধন চরণ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় থানা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ওখান থেকে খাগড়াছড়ি, পরে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বদলী হয়ে এসে একই ভাবে নানা দুর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সেখান থেকেও থাকে বদলী করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেলেও এখনো বহালতবিয়ত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় নির্বাচনের পূর্ববর্তী আনসার ভিডিপি'র সদস্যদের ডিউটির তালিকা করার মুহুর্তে অনেকের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে আবার অনেককে বেতন-ভাতা প্রদানের সময় টাকা কেটে রাখার শর্তে নাম তোলা হয়। তবে ঐ তালিকায় আনসার ভিডিপি'র সদস্যদের নিজনিজ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নাম্বার দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা থাকলেও তা পালন করা হয়নি। এমনকি নির্বাচনের সময় তালিকানুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা পিসি, এপিসি, আনসার ও ভিডিপি'র অনেক সদস্য ঘরে বসে থেকে চুক্তিভিত্তিক সাধারণ মানুষকে মাত্র কয়েকশ টাকার বিনিময়ে দায়িত্ব পালন করান। এসব দুর্নীতির কলকাঠি নেড়ে সিন্ডিকেটযোগে পুরো উপজেলা জিম্মি করে রেখেছেন আনসার ভিডিপি'র সংশ্লিষ্ট দলনেতা ও দলনেত্রী, ইউনিয়ন কমান্ডার, কোম্পানি কমান্ডার এবং থানা কর্মকর্তা। এছাড়াও মীরসরাই উপজেলা সহ আনসার ভিডিপি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন কমান্ডার, দলনেতা ও দলনেত্রী, থানা কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক এবং কোম্পানি কমান্ডারদের দূর্নীতি/ঘুষ লেনদেন উৎকোচ গ্রহণ মাসোহারা উত্তোলন সহ বিভিন্ন অনিয়মের সরেজমিন তদন্ত মতামত ও প্রমাণিত বিষয়াদির উপর ধারাবাহিক প্রতিবেদন চলবে।
0 মন্তব্যসমূহ