গত বৃহস্পতিবার শিক্ষক আরিফুল ইসলামের ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। মূহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ওয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি একে অপরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রাক্তন শিক্ষক আরিফুল ইসলাম অজ্ঞাত এক যুবতীকে ভিডিও কলে রেখে উলঙ্গ হয়ে হস্তমৈথুন করছেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয় সমালোচনা। পাশাপাশি শিক্ষক মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। যদিও আরিফুল ইসলাম এ ঘটনা তার স্মরণ পড়ছে না বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, দায়িত্বশীল একজন শিক্ষকের এমন অসামাজিক কার্যকলাপ কাম্য নয়। তার আপত্তিকর এই ভিডিওটি ভাইরাল হলে শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার নালবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। আট ভাই-বোনের মাঝে আরিফ সবার ছোট। ২০২০ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের মেয়ে তাসনীম আক্তার মুনকে। আরও জানা যায়, কথা-বার্তায় নিরীহ ভাব দেখানো এই মানুষটির ভিতরে লুকিয়ে আছে তীব্র যৌন আকাঙ্ক্ষা। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।সুন্দরী মেয়ে দেখলেই দুর্বল হয়ে পড়েন এই শিক্ষক। বিয়ের আগে ও পরে একাধিক নারীর সাথে ছলনা করে প্রেম এবং শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়েছেন আরিফ। স্বয়ং তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগও কম নয়। তিনি প্রতিদিন তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আপত্তিকর মেসেজ দিতেন। কথায় আছে, তার এমন আচরণের জন্যই নাকি কিছুদিন পর পর প্রতিষ্ঠান বদলাতে হয় তার।
0 মন্তব্যসমূহ