নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসছে ৮ টি সজ্জিত জাহাজ। নদীর পাড়ে হাজার হাজার মানুষ তা প্রত্যক্ষ করছে। মঞ্চে তখন চলছিলো আলোচনা। বৈশালী নগরবাসীর মহামারীর মতো দূর্দশা লাঘবের পর মহামতি বুদ্ধ যখন সজ্জিত জাহাজে বিম্বিসার রাজ দরবারে ফিরছিলো সে দিনটি ছিলো প্রবারনা পুর্নিমা। সজ্জিত জাহাজে করে মহামতি বুদ্ধের ফিরে আসার স্মৃতি জাগরুক রাখতে ২০০ বছর ধরে রামুর বাঁকখালী নদীতে প্রবারনা পুর্নিমার ২য় দিন আয়োজন করা হয় কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবের। এ বছর স্থান পেয়েছে ৮ টি এলাকার ৮ টি কল্প জাহাজ। প্রতিটি জাহাজ বানাতে খরচ দেড় লক্ষ টাকা করে। জাহাজভাসা উৎসবের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাপ্তি চাকমা, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ফাহমিদা মোস্তফা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান,আওয়ামীলীগ নেত্রী নুসরাত জাহান মুন্নী, রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তপন মল্লিক,কক্সবাজার শহর যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়া,রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলী, উন্নয়ন কর্মী জেসমিন প্রেমা, স্বপন কুমার বড়ুয়া মেম্বারসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন।
অনুষ্ঠানে রামু উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কক্সবাজার পৌর যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়াকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। জাহাজ ভাসা উৎসবের সভাপতি সাংবাদিক অর্পন বড়ুয়া জানান,সকলের সহযোগীতায় এবারও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে জাহাজ ভাসা উৎসব শেষ হলো। এ উৎসবের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেই জানান দিতে চাই, তাই আমাদের শ্লোগান হলো, সম্প্রীতির জাহাজে, ফানুসের আলোয় দুর হোক সাম্প্রদায়িক অন্ধকার।
সন্ধ্যা নাগাদ ফানুস বাতি উড়ানো হয় এবং বুদ্ধ কির্তন পরিবেশন করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ