নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে কিছু কুচক্রি মহল। এর পেছনে রয়েছে আরো একটি ভয়ংকর শক্তি সিন্ডিকেট। এদের হাত অনেক গভীরে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে দেখা যায়,
বাঁকখালীর নদী,খুরুশকুল ব্রীজের দু পাশে এবং বাংলা বাজার,দরগাহ পাড়া,ঝিলংজা, খরুরিয়া বাঁকখালী নদীর বি়ভিন্ন স্থানে,নদীর মহোনা নাজিরারটেক,চৌফলদন্ডী রাখাইন পাড়াস্থ বেরিবাঁধ,পশ্চিম পোকখালী সুইস গেইট, তেঁতিয়া খাল, ছনখোলা মাঝের পাড়াসহ এইসব এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদারসে বালু উত্তোলন করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখেও অনেকটা না দেখার ভান করে আছে। এই বিষয়ে দৈনিক কক্সবাজার ৭১ একাত্তর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে বালু খেখোদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ মামলা করলে পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন মহল সাধুবাদ জানান।
নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো.....
অদ্য ০৪.০৯.২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে বহুল প্রচারিত দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার প্রথম পাতায় 'অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব, প্রশাসন নিরব!" শিরোনামে একটি সংবাদ / প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সংবাদ/প্রতিবেদনটি ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেয়ার ক্ষমতা প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমার নজরে আসে। উক্ত প্রতিবেদনে বর্ণিত ঘটনা পর্যালোচনায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণ রয়েছে যা তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু উপর্যুক্ত অপরাধসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে আরো কার কার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তাদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার প্রতিবেদনে সুষ্পষ্ট নয়। সাক্ষীদের নাম, ঠিকানাও প্রতিবেদনে নাই সুতরাং অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরুপন করা প্রয়োজন এবং তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা প্রয়োজন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তকালে আসামীদের সনাক্তকরণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র প্রস্তুত, ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট আলামত, পাইপ, ভলগেট, ড্রেজার মেশিন, ড্রামট্রাক তাৎক্ষনিক জব্দ করবেন এবং সরকারী নদী থেকে কত ঘনফুট বালু তোলা হয়েছে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপন করবেন। দৈনিক কক্সবাজার ৭১ পত্রিকার রিপোর্টার আব্দুল আলীম নোবেলসহ প্রয়োজনীয় আরো সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন। সার্বিক বিবেচনায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সদর মডেল থানা, কক্সবাজারকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া গেল। অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানা, কক্সবাজার নিজেই উপর্যুক্ত বিষয়টি তদন্ত করবেন। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণসহ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজে সার্বিক সহায়তা প্রদান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদর কক্সবাজারকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। আদেশের অনুলিপি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার এবং জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার বরাবর প্রেরণ করা হোক। আগামী ০৪.১০.২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ প্রতিবেদন প্রাপ্তির জন্য। তদন্তের সুবিধার্থে উপর্যুক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নিম্নে হুবহু উল্লেখ করা হইল।
0 মন্তব্যসমূহ