বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপিই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। প্রকাশ্যে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণে বিএনপি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।’ আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, সেসব বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে তিনি বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার আটক করে রাখেনি। তিনি আদালতের রায়ে শাস্তি ভোগ করছেন। বরং শেখ হাসিনা উদারতার পরিচয় দিয়ে নির্বাহী আদেশে তাঁর শাস্তি স্থগিত রেখেছেন এবং তাঁকে বাসায় অবস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনার এ বদান্যতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল। অথচ তারা কৃতঘ্নতার পরিচয় দিচ্ছে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ দেশে জিয়া পরিবারের গল্প মানুষ জানে। ভাঙা স্যুটকেসের গালভরা গল্প মানুষ ভুলে যায়নি। ভাঙা স্যুটকেস থেকে বিলাসবহুল জাহাজ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে জনগণ। বিএনপির শাসনামলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বিদেশে পাচারকৃত জিয়া পরিবারের অর্থের কিছু অংশ দেশে ফেরতও আনা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দেশকে ভঙ্গুর ও পরনির্ভরশীল করে রেখে গিয়েছিল, তারা আজ দেশের অর্থনৈতিক অর্জন নিয়ে সমালোচনা করছে। বিএনপি প্রতিনিয়ত ‘মিথ্যাচারের ফানুস ওড়াচ্ছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ দেশের অর্থনীতিকে আজ শক্তিশালী কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে এক উদীয়মান শক্তি। দেশের এই অর্জন-সমৃদ্ধি তারা কখনো মেনে নিতে পারে না। বিএনপির রাজনীতি পরশ্রীকাতরতা ও দ্বিচারিতায় পূর্ণ।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, বিএনপি আত্মদহনে দক্ষ। ভুল রাজনীতির খেসারত দিচ্ছে তারা। স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়েও মনোজগতে তারা এখনো পরাধীনতায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানি ভূত তাদের মাথা থেকে যায়নি। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দিচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। যাদের জন্ম ও বিকাশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, তারা সে বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না, এটাই সত্য। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে। জনগণের পাশে আছে, জনগণের পাশেই থাকবে।
0 মন্তব্যসমূহ