নীলফামারীতে বৃদ্ধ বাবা ও বড় ভাইয়ের সাথে প্রতারণা


মো. সাদিকউর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব‍্যুরোঃ
 

জমি বিক্রির কথা বলে বৃদ্ধ পিতাকে ফুসলিয়ে ৪৭ শতক জমি জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে ছোট ছেলে নীলফামারী মেডিকেল কলেজের অফিস সহায়ক সুভাস চন্দ্র রায়।

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চকদুবলিয়া গ্রামের শম্ভু বর্মণের দুই ছেলে। বড় ছেলে চিত্ত রঞ্জন রায় ও ছোট ছেলে সুভাস চন্দ্র রায়। বড় ছেলে সরকারী চাকুরী করার সুবাদে জেলার বাহিরে থাকে। ছোট ছেলে সংসারের দেখা শুনার দায়িত্ব নিয়ে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে তহিদুল ইসলামের নিকট ৬৭ শতক জমির মধ্যে প্রায় ২০ শতক জমি বাবার সম্মতিতে গত ৩১ জানুয়ারী বিক্রি করে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একই দিনে বিক্রির দলিলের সাথে বাকী ৪৭শতক জমি কৌশলে নিজের নামে লিখে নেন। 

কয়েকদিন পর বিষয়টি বড় ভাই জানতে পেয়ে গ্রামের বাড়ীতে এলে ছোট ভাই ও চাচা-চাচী লাঠি সোটা দিয়ে ধাওয়া করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। বুধবার সকালে চিত্ত রঞ্জন রায় সাংবাদিকের নিকট অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল বয়সের ভারে কানে ও চোখে কম দেখে শম্ভু বর্মণ। ছোট ছেলেকে ৪৭শতক জমি লিখে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে জমি বিক্রির কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সেদিন শুধু একটি দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে।

এর আগেও সোনালী ব্যাংক নীলফামারী শাখা থেকে বাবার সরলতার সুযোগ নিয়ে স্বাক্ষর জাল করে কয়েক দফায় টাকা উত্তোলন করে আতœসাৎ করে সুভাস চন্দ্র রায়। পরে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।   

সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম শাহ জানান, বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। সমাধান না হলে তিনি দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ