শুক্রবার ৩ জুন, কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে এই প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন কক্সবাজার (আসন-৩)-এর সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেসিআই কক্সবাজারের লোকাল প্রেসিডেন্ট আবু ফারহান, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, জেসিআই চট্টগ্রামের লোকাল প্রেসিডেন্ট আবু বকর শাহেদ ওরফে শান, জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের লোকাল প্রেসিডেন্ট মো. এজাজুল হাসান খান এবং জেসিআই ঢাকা এইসের লোকাল প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন কমিটি চেয়ার খাদিজা আক্তার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার (আসন-৩)-এর সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজার একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। বাঁকখালি ড্রেজিং ও কিছু বাধ নির্মাণের কারণে বিগত চার বছরে কোনো ভয়াবহ বন্যা হয়নি। তবে যেকোনো ভয়াবহ বন্যার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। বন্যায় মানুষের জান-মাল রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে জেসিআই বাংলাদেশের বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, প্রজেক্ট গ্রিন কক্সবাজারের মতো মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি বেশ আনন্দিত। আমার জানা মতে, জেসিআই বাংলাদেশের লোকাল অরগানাইজেশনগুলো নিয়মিত দেশ ও পরিবেশ রক্ষার্থে নানা কার্যক্রম আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রজেক্ট গ্রিন কক্সবাজার নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আমি সাধুবাদ জানাই এবং সবসময় তাদের পাশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।
বিশেষ অতিথি কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, দিন দিন বিশ্ব পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। এমন সময় পরিবেশ রক্ষামূলক এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। প্রজেক্ট গ্রিন কক্সবাজারের কার্যক্রম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমার প্রত্যাশা।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের লোকাল প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল বলেন, প্রজেক্টটির মাধ্যমে আমরা কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিবেশগত উন্নয়নের দিকের পাশাপাশি মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।
প্রজেক্টটির প্রধান সমন্বয়ক এবং জেসিআই ঢাকা এইসের লোকাল প্রেসিডেন্ট ফাহিম আহমেদ বলেন, বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব প্রবল হুমকির মুখে রয়েছে। আর মাত্র দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লেই আমরা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ব। তাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। সে ভাবনা থেকেই প্রজেক্ট গ্রিন কক্সবাজারের মাধ্যমে আমরা বনায়নের উদ্যোগ নিয়েছি।
এছাড়াও অন্য লোকাল প্রেসিডেন্টরা জানান, আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনটি সামনে রেখেই প্রজেক্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রজেক্ট গ্রিন কক্সবাজারের আওতায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। একইসঙ্গে দেশ এবং দেশের বাইরে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এসে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ