নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় সরকারি বিশাল একটি পাহাড় কাটা শুরু করেছে ভূমিদস্যুরা। টিনের বেড়া দিয়ে একপাশ থেকে পাহাড় কাটা চলছে গত এক মাস ধরে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতেই বেলায় সরকারি পাহাড়টি কর্তন করা হচ্ছে। পাহাড় কেটে ভরাট করা হচ্ছে নিচু জমিও।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড লাইট হাউজস্থ লাইট হাউজ কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের পিছনে বিশাল একটি সরকারি (১নং খাস খতিয়ান) পাহাড় রয়েছে। পাহাড়ের পশ্চিম দিকের একপাশ টিনের বেড়া দিয়ে আড়াল করা রাখা হয়েছে। টিনের আড়ালের ভিতরে শ্রমিক লাগিয়ে প্রতিরাতে চলছে পাহাড় কাটা।
স্থানীয়রা জানান-স্থানীয় শ্রমিক আমান উল্লাহ’র মাধ্যমে পাহাড়টি কেটে যাচ্ছে জিয়াবুল নামে একব্যক্তি। জিয়াবুল কলাতলী হোটেল মোটেল জোন এলাকার সাদিয়া রেস্তোঁরার মালিক। পাহাড় কাটার একটু পশ্চিমে জিয়াবুলের বাড়ি। গত একমাস ধরে সরকারি পাহাড়টি কর্তন শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় প্রকাশ্যে সরকারি পাহাড়ি কেটেই যাচ্ছে জিয়াবুল।
এলাকারবাসীর অভিযোগ- পাহাড় কাটার অভিযোগে গত দুই বছর আগে লাইট হাউজস্থ ফাতের ঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল দদুক। অভিযানে শতাধিক ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পাহাড় কাটার কারণে দদুক এই অভিযান চালিয়েছিল। এরপর থেকে লাইট হাউজ এলাকায় প্রায় বন্ধ ছিল পাহাড় কর্তন। কিন্তু এখনো ফাতের ঘোনার মানুষ সেই ক্ষত কেটে উঠতে পারেনি। পাহাড় কাটা কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও এবার পাহাড় কর্তন শুরু করেছে জিয়াবুল। সরকারি বিশাল পাহাড়টি প্রকাশ্যে কেটে যাচ্ছে শ্রমিক লাগিয়ে। এই কাটা অব্যাহত থাকলে কয়েক মাসের ব্যবধানে পুরো সরকারি পাহাড়ি সাবাড় হয়ে যাচ্ছে। এভাবে সরকারি পাহাড় কাটার কারণে যেকোন সময় বড় ধরণের ক্ষতির আংশকা করছে এলাকাবাসীরা।
তবে পাহাড় কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন জিয়াবুল। তিনি বলেন- তিনি কোন পাহাড় কাটছে না। তবে পাহাড়ের একটি অংশ তিনি কিনে নিয়েছে।
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শেখ নাজমুল হুদা বলেন- পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা সবসময় অভিযান পরিচালনা করি। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে লাইট হাউজের সেই পাহাড় কাটার স্থানে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ