মোঃ ওসমান গণি ইলি,
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা ঈদগাঁ খাল ৭০% ভরাট করে গড়ে তুলছে দোকানপাটসহ বহু স্থাপনা।
পানি নিষ্কাশন এর প্রধান খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ পোহাতে হবে বাজারে দুই হাজারের অধিক ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের। উজান টিয়া খালটি বান্দরবান আলীকম পাহাড় থেকে শুরু হয়ে ঈদগড়, ঈদগাঁও, জালালবাদ,পোকখালী দিয়ে সংযোগ হয়েছে মহেশখালী নদীতে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন আশঙ্কাজনক ভাবে বর্তমান সময়ে দখলদার বেড়ছে। খালের দুই কুলে দখল করে দোকানপাট স্থাপনা করছে। অপরাধীদের রক্ষা করতে দুড় ঝাপ শুরু হয়েছে। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আসল অপরাধীদের বাঁচতে নিহর ব্যাক্তি কাওছার উদ্দিন বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন দখলদার চক্রটি । তারা আরো বলেন এসব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে খালটি দখল মুক্ত করে সঠিক তদন্তদের মাধ্যমে দখলদার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বাঙালী বলেন ১০ হাজার কৃষক এখালের উপর নির্ভরশীল। এখানকার পানি দিয়ে তারা চাষাবাদ করেন। তিনি বলেন বর্তমান সময়ে দখলদারদের উৎপাত বাড়ছে। তাদেরকে দমন করা না হলে খালের দুই পাশে দখল হয়ে যাবে বলে মনে করেন।
শিক্ষক ও বাজার পরিচালনা পরিষদ কমিটির সদস্য তারেক হাসান বলেন এই বিষয় নিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও মিল্টন রায় মহোদয় বারবারে লিখত অভিযোগ করেছেন। কায়েস সিকদার কি করে কাওছার হবে? যারা খাল দখল করে দোকান ও স্থাপনা করছে এগুলো গুড়িয়ে দিয়ে খালটি রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
ঈদগাঁও ভূমি অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, এসিল্যান্ড অফিস থেকে সার্বিয়ার এসে জমি মাপার পর জনতে পারবো দোকান গুলো খাস খতিয়ান না তাদের বিএস খতিয়ান ভুক্ত। কক্সবাজার ভূমি অফিসের সহকারী অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, আমি নতুন আসচ্ছি এই বিষয়ে কিছু জানিনা খবর নিয়ে দেখি দেখছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার সদর ইউএনও মিল্টন রায় বলেন এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার জিল্লুর রহমান কে নোটিশ দেয়ি কাজ বন্ধ ও সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্থানীয়দের সাথে আলোচনা করে খালটি দখলমুক্ত করে দক্ষিণ অঞ্চলের বৃহত্তর ঈদগাঁ বাজারের পানিসহ উজান থেকে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ