স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুক্তা হিমাগারে আলু সংরক্ষণে মানছে না শ্রম আইন। হিমাগারটিতে নোটিশ ছাড়াই ৬০ কেজির বস্তা রাখলেও কৃষকরা জানেন না মৌসুম শেষে বস্তা ভাড়া কত হবে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বড়ঘাটে মুক্তা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কৃষকরা বলছেন এ মৌসুমে ভাড়া কত হবে সেটি কর্তৃপক্ষ এখনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। অপরদিকে শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০১৬ বাস্তবায়নে শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় সকল হিমাগারের বস্তা ৫০ কেজি ওজনের বেশি রাখা যাবে না। কিন্তু হিমাগারটির মালিক এই আইনকে মানছে না। একই চিত্র দেখা গেছে, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অবস্থিত মুক্তা হিমাগার ইউনিট -২ তেও।
হিমাগারে ডিমলার নাউতারা থেকে আলু রাখতে আসা কৃষক হবিবার রহমান বলেন, এই মৌসুমে আলু সংরক্ষণে হিমাগারের ভাড়া কত হবে এ নিয়ে চিন্তায় আছি, যদি ভাড়া সম্পর্কে আগে জানতাম তাহলে আর চিন্তা থাকতো না। এ রকমভাবে বাহানুর ইসলামসহ আরো অনেক কৃষকরা একই কথা বলেন।
এ বিষয়ে মুক্তা হিমাগারের মালিক সৈয়দ আলী বলেন, আমাদের হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রংপুর বিভাগীয় হিমাগার সমিতি আছে সেখানে রেড তালিকা করা হয় এবার কেজি প্রতি ধরা হয়েছে ৫.২০ টাকা। শ্রম আইন কতটুকু মানছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, হিমাগারে ৫৮ থেকে ৬০ কেজি ওজনের বস্তা রাখা হচ্ছে।
এটি নিয়ে হিমাগার শ্রমিকদের সাথে শ্রম আইন অধিকারের কথা জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হিমাগার শ্রমিকরা বলেন, ৫০ কেজি ওজনের বস্তা হলে তো আমাদের সুবিধা হয় কিন্তু ৫৮/৬০ কেজি ওজনের বস্তা হলেও মালিক পক্ষকে আমাদের কিছু বলা যাবে না আমরা গরীব মানুষ কাজ করি খাই।
এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ