মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
বাজার খরচ কাছছাট করতে গিয়ে মন খারাপ করে ফিরছেন সাধারন মানুষ। সোয়াবিনের দাম বাড়তে বাড়তে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। বেড়েছে পেয়াঁজের দামও। কসমেটিকস পণ্যের দাম তো দফায় দফায় বেড়ে উর্দ্ধমুখি। চালের দাম তো আকাশ ছোঁয়া। সব মিলিয়ে নিত্যপন্যের দামে
দিশেহারা সব শ্রেনীর মানুষের।গত সপ্তাহে চেয়ে আরেক দফায় বেড়েছে মুরগীর দাম। প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে মাংস ব্যবসায়িরা বাড়িয়েছে মাংসের দাম। সোয়াবিন তেলে মানুষ কাহিল। কারন দাম থেমে নেই। দফায় দফায় বেড়ে এই পন্যের দাম এখন প্রতি লিটার ১৭০ টাকায় ঠেকেছে। এক বছরে প্রায় দ্বিগুন হয়েছে
পণ্যটির দাম। একশ টাকা থেকে শুরুর করে ১০৫ টাকা পরে ১১৫ টাকা। তারপর ১৩০ টাকা । এভাবে বাড়তে বাড়তে এখন ১৭০ টাকা প্রতি লিটার। সামনে রমজান মাস। এমন অবস্থায় বাজার অস্থির।বাজার ঘুরে দেখা গেছে ‘ সরকার
কঠিন ভাবে বাজার মনিটরিং না করলে মানুষ আরো নাজেহাল হবে। গুটি চাল সহ মোটা চালে ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা কমেছে বলে চাল ব্যবসায়ি বাচ্চু জানান। মুরগী ব্যবসায়িরা জানান ‘ তাদের মুরগী ফার্ম থেকে মুরগী বেশি দামে কিনতে হয়। শুক্ররবার বাজার ঘুর দেখা যায় দেশি ও সোনালি মুরগির দামে আগুন। গত শুক্ররবার ছিল ২৫০ টাকা কেজি দরে সোনালী মুরগী বিক্রি হয়েছে। তা এই শুক্ররবার ২৭০ টাকা থেকে ২৯০ টাকা প্রতি কজি।দেশি মুরগী তো ৩২০ টাকা থেকে এক লাফে ৪২০ টাকায় ঠেকেছে। সবজির বাজারও অস্থির। মনে হচ্ছে রমজানের শুরুতে
আরো একটি ধাক্কা দিবে সবজির বাজার।বেগুন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি। ব্যবসায়িদের কারসাজিকে দাযী করছে সাধারন মানুষ। ডাল ও চিনির দামও বাড়তি। বাড়তে শুরু করেছে ছোলা ও মুসুরির দাম। বাজার ব্যবস্থা নিয়ে অনেকে অভিযোগ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন গরুর মাংস ব্যবসায়িরা আড়িয়া গরুর মাংস ছিলো ৫৮০ তা এখন ৬০০ টাকা। গাই ও বাচ্চি গরুর মাংস ছিল ৫৫০ টাকা কেজি। এখন সবাই সব গরুর মাংস এখন ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। ক্রেতা ইমরান জানান ‘ গরুর মাংসের দাম ব্যবসায়িরা নাকি আরো বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা করবে। নিম্মবিত্ত ও কেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা না বিশ্বাস। সবাই বাজার কাটছাট করেও কুলাতে পারছেনা।
0 মন্তব্যসমূহ