মো. সাদিকউর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
সংস্কার বরাদ্দে অভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুর খাতামধুপুর ইউনিয়নের রথের পুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরের শহীদ মিনারটির বেহাল দশা। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অথচ রথের পুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আলমাস সুলতানা বলেন, ভাঙা শহীদ মিনার আজই পরিষ্কার করা হবে। সম্ভব না হলে দিবসটি পালন করা হবে না। স্থানীয়রা জানান, নিম্নমানের কাজ করায় গত বর্ষা মৌসুমে পেছনের ইটগুলো খুলে বেদির নিচের অংশ থেকে বালু বের হয়ে গেছে। দীর্ঘদিনেও শহীদ মিনারটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি শহীদ মিনারের সামনে ওয়াসব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ও অপমাননাকর। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে অপরিকল্পিতভাবে শহীদ মিনার ও ওয়াসব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে শহীদ মিনারটি অন্যত্র সরিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এভাবে বারবার সরকারি অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিজেদের পকেট ভরছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ মিনারটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে। ভাঙা অংশের ভেতরে ছাগল ছোটাছুটি করছে। শিক্ষক পিয়ন ও নৈশ্যপ্রহরী কারও নজর নেই। মাসের পর মাস একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
শহীদ মিনারটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রথেরপুকুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সজিব
হোসেন জানায়, এক বছর আগে শহীদ মিনার ভেঙে গেছে। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মাসুদ হোসেন বলেন, এবার অন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হবে বলে শুনেছি। তাই আমাদের বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কবে সংস্কার হবে জানি না।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, শহীদ মিনারটি সংস্কার করা হবে। বাজেট না থাকায় সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ওই শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য না দিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে পালন করা হবে। এই ব্যবস্থা
আমরা গ্রহণ করবো।
0 মন্তব্যসমূহ