নীলফামারীর একটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও পুস্পমাল্য অর্পণ না করার অভিযোগ


রংপুর ব‍্যুরো অফিসঃ
রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে মালা দিয়েছিলাম, পরেরদিন জানতে পারলাম মালা নেই, এ কথা গুল বলেছেন রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহেদুল ইসলাম।

স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যালয়ের পক্ষে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন কি শহীদ মিনারটি পরিস্কার পর্যন্ত করেনি। এবিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে উঠেছে নিন্দার ঝড়। সোমবার (২১ ফেব্রেুয়ারি) ময়লা আবর্জনার মধ্যে ইটের খোয়ায় অরক্ষিত শহীদ মিনারের
বেদিতে কোনো ফুল নেই। দেখানো হয়নি ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা।
পরে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেনের পক্ষ থেকে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়। তার পরেই নজরে অসে বিষয়টি স্থানীয়দের, পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবিষয়টি ভাইরাল হয় কমেন্টে উঠে আসে নিন্দা ও অব্যবস্থাপনার বিষয়।

রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার কথা থাকলেও কেনো ওই প্রতিষ্ঠান করে নাই এ বিষয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলবো।
রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহেদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে মালা দিয়েছিলাম, ২১ ফেব্রুয়ারি জানতে পারলাম মালা নেই, অপরিচ্ছন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্ত্বর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুক্তার হোসেনকে অনেক বার বলেছি খোয়া গুল শহীদ মিনার থেকে সরাতে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কোন কথা শুনেনি। ছোট বাচ্চারা ফুল ও মালা নিতে এসে খোয়ার মধ্যে লাফা লাফি করায় এ অবস্থা হয়েছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান কেন পালন করে নাই, তার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ