বার্তা পরিবেশকঃ প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,সালাম নিবেন, আশা করি ভাল আছেন, আসি রাশেদা বেগম মেহেদী হাসানের মা, কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতেছি, আমার ছেলে মেহেদী হাসান একজন সহজ সরল মিশুক স্বভাবের ছেলে। বর্তমানে সে কক্সবাজার সেন্টমাটিনগামী শীপের টিকিট বিক্রির সাথে জড়িত, সেখানে গত কয়েক বছর ধরে চাকুরী করে আসছে। এলাকায় সে কোন ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি ডায়েরী ও নেই।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সম্প্রতি কক্সবাজার শহরর নারী ধর্ষণের ঘটনায় আমার নিরীহ ছেলে মেহেদী হাসানকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছবি ব্যবহার করে মন গড়া কাল্পনিক সংবাদ প্রচার করে দোষী বানাতে চেষ্টা করছে একটি চক্র। এবং একেই সাথে মিথ্যা অভিযোগে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মিড়িয়ায় একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করায় আমার পরিবার সামাজিক ও মানসিক চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ধর্ষনের ঘটনায় যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে সেখানে আপনারা দেখেন মেহেদী হাসানের কোন ধরণের সম্পৃক্তা নেই। আশিকের সিন্ডিকেটর সদস্যবলে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেটিও মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন কারণ বছর খানেক আগে আশিকের দলের একজন আমার ছেলেকে ছুরীকাঘাত করে আহত করে এবং আমার পরিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। এটিতেই প্রমাণ করে আশিকের তাদের সিন্ডিকেটর মেহেদী হাসান কোনদিন সদস্য হতে পারে না।
একটি মহল আমার নিরিহ ছেলেকে অপরাধি বানাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। ঘটনার পর থেকে আমার ছেলের চাকুরীটিও চলে গেছে। একই সাথে সেও চরম মানসিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ করছি, একই সাথে প্রশাসনের কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আইনকে সম্নান করি, পুলিশ আমার ছেলেকে সন্দেহ করায়, আইন ও পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সাধ্য মতে পুলিশকে আমি সহযোগিতা করেছি। তবে আমার ছেলে একেবারে নিঃদুষ। সঠিক তদন্ত করে নিরীহ আমার ছেলেকে হয়রানি না করার জন্য অনুরোধ করছি।
এছড়া সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ সংবাদ প্রচার করার আগে যেন নিরীহ কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
প্রতিবাদকারী
রাশেদা বেগম
সাং- বাহারছড়া, কক্সবাজার
0 মন্তব্যসমূহ