নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানা নিগুয়ারী ইউনিয়নের চাকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণি শেখের সন্তান মোঃ গোলন্দাজ মিয়া (৬৭) । গত ২৭বছর যাবত নিজ বসতভিটায় ফসলি জমিতে চাষাবাদ করে মানবতার জীবন-যাপন করে আসছিল ষাটোর্ধ্ব গোলন্দাজ। একই এলাকার কিছু ভূমিদস্যুর নজর পড়ে গোলন্দাজ এর জমির উপর। একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের সন্তান নজরুল ইসলাম দুলাল (৫২) ও তাদের সহযোগীদের ভয়ে অতিষ্ঠ গোলন্দাজ পরিবার ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী নাম উল্লেখ না করা শর্তে জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ গোলন্দাজ এর পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। নজরুল ইসলাম দুলাল কিভাবে গোলন্দাজ এর সম্পত্তি দখলে নিতে পারে সেই পাঁয়তারা করে আসছিল এবং তার পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে থেকে জানা যায়, দীর্ঘদীন ধরে এ জমি নিয়ে ময়মনসিংহ কোর্টে মামলা চলমান অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কোর্টকে অবমাননা করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নজরুল ইসলাম দুলাল ও তার সহযোগিদেরকে নিয়ে অবৈধভাবে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং কিছু জমিতে জোরপূর্বক ভাবে সবজি চাষ করে আসছে।
ভূমিদস্যু দুলালকে জমি দখলে বাধা দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোলন্দাজ কে হামলা করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে যায় ষাটোর্ধ্ব গোলন্দাজ। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি ভূমিদস্যু দুলাল, সে গোলন্দাজকে প্রতিনিয়তই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন প্রাণনাশের। এই ঘটনায় গোলন্দাজ পাগলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন দুলাল ও তার সহযোগীরা। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলে জানান গ্রামের লোকজন। কেউ প্রতিবাদ করলে দুলালের দুই ছেলে এবং তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা করেন। গোলন্দাজ এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, দুলালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যেই জমি নিয়ে সমস্যা, সে জমি হলো আমার পৈতৃক সম্পত্তি। দুলাল আমার সম্পর্কে ভাতিজা, ওর সাথে আমার জমি নিয়ে কোনো বিরোধ থাকতে পারে না, তারপরও সে না বুঝে আমার জমি ওর নিজের মনে করে আসছে।
এ নিয়ে আমার নামে মিথ্যা মামলাও করেছে। কিন্তু জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ০৭/০৭/২০২১ ইং তারিখ ঘটনার সত্য তথ্য যাচাই-বছাই করে আমাকে স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি ধারা ফৌঃ কাঃ বিধি ১৪৪ এবং সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, সূত্রে উল্লেখিত মোকাদ্দমার দ্বিতীয় পক্ষ বাদীর বড় ভাইয়ের ছেলে তাহার অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষের পিতা মারা যাওয়ার পর তার পিতার অংশের প্রায় সমস্ত সম্পত্তি ১ম পক্ষ সহ অনেকের কাছে সাফ কাওলা দলিল মূলে বিক্রি করে দেন।
এ বিষয়ে গোলন্দাজ বলেন, এলাকারবাসীর কাছে বলে বেড়াচ্ছেন, আমার বাবা নাকি তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন কিন্তু আমার বাবা সম্পত্তি বিক্রি করেছে কিনা সে বিষয়ে আমি এখনো পর্যন্ত জানিনা এবং তিনি বলেন সম্পত্তি বেদখল করিবে । এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গোলন্দাজের পরিবারের সদস্যরা ।
গোলন্দাজ এর সম্পত্তির তফসিল জেলা- ময়মনসিংহ ,থানা- পাগলা ,মৌজা- চাকুয়া, খতিয়ান নং এসএ বিআরএস ২২৫ ,২৩৭৩ ,দাগ নং এস এ ৪৮৪, জমির পরিমাণ ৪৩ শতাংশ , জমির চৌহদ্দি উত্তরে রহমান গং, দক্ষিনে প্রথম পক্ষ নিজ, পূর্বে আবুল-কালাম গং,পশ্চিমে প্রথম পক্ষ নিজের।
0 মন্তব্যসমূহ