অবশেষে আবারও ভাসানচরমূখী হয়েছে ২৫৭ জন রোহিঙ্গা


ওমর ফারুক সোহাগ:

দীর্ঘ দিন আবহাওয়ায় সমুদ্রের উত্তালতার কারণে ৭ মাস বিরতির পর কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে হস্তান্তর  আবারও শুরু হয়েছে।শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় সপ্তম দফায় (প্রথম দল) ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন রোহিঙ্গারা।

বুধবার (২৪ নভেম্বর)  সকাল ১১.১০ মিনিটে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে থেকে ৭ম দফায় আবারও উখিয়া থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ১২৬;পরিবারের এতে রয়েছে মোট ২৫৭ জন রোহিঙ্গাদের। 

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে হস্তান্তর করার সময়,এনএসআই এর তত্ত্ববধানে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য অতিরিক্ত একটিসহ মোট ৭টি বাস নিয়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

ওই সময় একটি এম্বুলেন্স,এনএসআই টীম ও পুলিশ প্রোটেকশন সাথে নিয়ে এদের যাত্রা শুরু হয়।এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরের ৩ তারিখ রোহিঙ্গাদের একটি দল প্রথম ভাসানচরে যাত্রা শুরু করে,এর প্রেক্ষিতে ৭ম বারের মত এবার ভাসানচরে যাত্রা শুরু করলো আরও ২৫৭জন রোহিঙ্গারা।

সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাকে পিছিয়ে রেখে হাসিমুখে তারা ফিরে যাচ্ছে নতুন আপন ঠিকানায়, উখিয়া-টেকনাফেে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের ভিতর একটু সুখ ও ভাল থাকার আশায় সব ধরনের চাপ ও বাধাঁ নিষেধ ডিঙ্গিয়ে ভাসানচরে যাচ্ছে এইসব রোহিঙ্গারা।

ইতিমধ্যে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে উন্নত জীবন যাপনের সু-ব্যবস্থা।আশ্বাস পেয়েছে এর আগে ভাসানচরে গিয়ে যারা সুখে জীবনযাপন করতেছে তাদের। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রা নির্বিগ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে নানান ব্যবস্থা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ছয় দফায় ১৮ হাজার ৯৫ রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এ ছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত দেড়লাখ রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নিতে সরকার নিয়েছে বিপুল পরিমাণ আবাসন গড়ে তুলেছে সরকার। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ