নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রাস্তার পাশেই বহুতল ভবণ নির্মাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় সৃষ্টি হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। নির্মাণাধীন ভবণের অংশ ধ্বসে স্কুল ছাত্রীসহ ৩ পথচারী আহত। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
রবিবার দুপুর ১ টার দিকে হাসপাতালের দুই নাম্বার গেইট সংলগ্ন পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন শহরের বাসটার্মিনাল এলাকার মৌলবি খালেদের মেয়ে তাহেরা সিদ্দিকা নিগার (৩৪) ও তাঁর নাতনী নাজিয়া সুলতানা নিসি (১৪) এবং একজন পথচারী। আহত নাজিয়া সুলতানা নিসি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের পরিবার জানায়, ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত তাহেরা সিদ্দিকা নিগার ও নাজিয়া সুলতানা নিসি এক প্রাইভেট হাসপাতালে যাচ্ছিল চোখ পরিক্ষার রির্পোট নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে বেশ কয়েকটা টাইল্স আর গাছের অংশ পড়ে। এতে নিগারের মাথা ফেটে যায়। নিসি’র পিঠে আঘাত লাগে এবং পথচারীর পায়ে জখম হয়।
আহত নিগারের ভাই আরফান উল্লাহ্ জানান, তার বোন নিগারের অবস্থা আশংকা জনক। তাকে ফুয়াদ আল খতীব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্রে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তারা নিগারকে নিয়ে বেশ আতংকে। কারণ গত দুই বছর আগে ব্রেন টিউমারের কারণে নিগারের মাথায় অপরেশন করা হয়েছিল। আর ওখানেই আঘাত।
এই ঘটনার জন্য আরফান উল্লাহ্ বলেন, এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী। তার অভিযোগ যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কাজ করার ফলেই এমনটা হয়েছে। এর জন্য তিনি প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, এই বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করছে হায়দার কনস্ট্রাকশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। এ ব্যাপারে হায়দার কনস্ট্রাকশনের কাজের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ মোস্তাফা জানান, এটি একটি দূর্ঘটনা। আহতের চিকিৎসার খরচ চালানো হচ্ছে। নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি কেন? এমন প্রশ্নে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি। তবে নিশ্চিত করেন পরবর্তীতে এমটা হবেনা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: এস.আম.নাওশেদ রিয়াদ জানান, বিষয়টি তিনি অবগত। এ নিয়ে তিনি দুঃখ্য প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, হাসপাতালের এই ভবণের কাজ করছে আন্তজাতিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। আর এই সংস্থার অধিনেই ভবণ নির্মাণের কাজ করছে হায়দার কনস্ট্রাকশন। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন নিরাপত্তা নিশ্চিত রয়েছে। এরপরেও এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে সচেতন লোকজন বলছেন, রাস্তার পাশে সদর হাসপাতালের বহুতল ভবণ নির্মাণে কোন সেফটি নিশ্চিত করা হয়নি। এতে আরো বড় কিছু হতে পারত। এটি হাসাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছাড়া কিছুইনা।
0 মন্তব্যসমূহ