মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পথচারিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদের পড়ার ঘটনায় দুইজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের ধলাগাছ এলাকায় মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে পথচারী ও মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের গাড়ি চালক শহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং অপরজন মিনিবাস যাত্রী মনছুর আলী (৫৯)।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর দূর্ঘটনাস্থলে উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। সন্ধ্যায় রেকার এসে খাদে পড়া বাসটি উদ্ধার করে।পুলিশ ও বাস যাত্রী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ফাহিম এন্টারপ্রাইজের একটি গেটলক মিনিবাস (নং: ঢাকামেট্টো-জ-১৪-০১৯৪) রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিল। মিনিবাসটি বিকেলে তিনটার দিকে সৈয়দপুর -নীলফামারী বাইপাস সড়কের ধলাগাছ এলাকায় পথচারী মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের গাড়ি চালক শহিদুল ইসলামকে (৪৫) চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিলে কিছু দূর যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
এতে মিনিবাসটি ওই সড়কের পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মী, সৈয়দপুর থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা সদস্যরা দ্রুত দূর্ঘটনাস্থলে পোঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিনিবাসের ভেতরে আটকেপড়া বাস যাত্রীদের উদ্ধার করেন। পরে দূর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপতালে নিয়ে যায়। এ দূর্ঘটনায় বাসটির কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হয়। মিনিবাসটির চাপায় নিহত পথচারী মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের গাড়িচালক শহিদুল ইসলাম রংপুর মহানগরের পাকপাড়া কেসি রায় রোডের রমজান আলী ছেলে। আর নিহত যাত্রী মনছুর আলী দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা পূর্ব মল্লিকনগর গ্রামের ওমর আলী ছেলে বলে জানা গেছে।
ওই মিনিবাসের যাত্রী ঠাকুরগাঁওয়ের দোকান কর্মচারী মো. নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, তিনি ওই বাসে রংপুর থেকে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলেন। রংপুর থেকে যাত্রা শুরুর পর থেকে মিনিবাসটির চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। একই ধরনের অভিযোগ করেন বাসযাত্রী পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান (২২), সাঈদ (৪৫) ও দিনাজপুরের নাছিমা বেগম (৩২)।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবিাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. ওমেদুল হাসান জানান, দূর্ঘটনায় আহত যাত্রীদের মধ্যে ২৩ জনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং গুরুতর আহত একজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকি আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ