পঞ্চগড় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দাবি ফাতেমার


মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
  

সত্তরের কোটা পেরোনো ফাতেমা খাতুই জন্মেছেন উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। ১৯৬৫ সাল থেকে সরকারি চাকুরি জীবন শুরু তার। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন অধ্যাপনা করে। পঞ্চগড় নজরুল পাঠাগারের আজীবন সদস্য তিনি। সর্বশেষ সরকারি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ হিসেবে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় স্বামী সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় কাটলেও জন্মস্থান পঞ্চগড়কে কখনো ভুলে যান নি। সুযোগ পেলেই পঞ্চগড়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। 

পঞ্চগড়ের অসহায় দরিদ্র মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কিছু একটা করার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বড় আকারে এমন কর্মযজ্ঞ করবার সামর্থ নেই তার। তবে থেমে থাকেন নি। শুরু করেছেন ছোট পরিসরেই। এবার পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র ৫ জন নারীকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কিনে দিয়েছেন ভাল মানের ৫ টি সেলাই মেশিন। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় নজরুল পাঠাগারে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন তিনি। এ সময় পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর কেএ দিলখুশা প্রধান বিপ্লবী, ফাতেমার মেয়ে নাসরিন শিরিন, নজরুল পাঠাগারের লাইব্রেরিয়ান হালিম আনোয়ার মো. করিমদাদ উপস্থিত ছিলেন। 

ফাতেমা বলেন, আমি ঢাকায় থাকলেও পঞ্চগড়ের জন্য পঞ্চগড়ের মানুষের জন্য আমার প্রাণ সব সময় কাঁেদ। আমি এ জেলায় জন্মেছি। তাই এ জেলার মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। বিশেষ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কিছু করার ইচ্ছে বহুদিনের। কিন্তু আমার একার পক্ষে এতো বড় উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়। পঞ্চগড়ে অনেক বিত্তবান মানুষ রয়েছেন। তারা যদি নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ান তাহলে সমাজে বড় একটা পরিবর্তন আসবে। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আশা করি আমার মতো অন্যরাও অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ