মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন চা উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও চা রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা অঞ্চল পঞ্চগড়ে একটি চা নিলাম মার্কেট স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রবিবার সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি,পিএসসি,স্থানীয় চা চাষি, কারখানা মালিকসহ অংশীজনের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিদের সবধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার ও চা বোর্ড। এ জন্য ক্ষুদ্র চা চাষিদের প্রশিক্ষনও দেয়া হচ্ছে। দেশিয় বা ভারতীয় চোরাই পথে আনা চা প্যাকেটজাত করি বিক্রি করলে মোবাইল কোর্ট করার অনুমোদন পাওয়া গেছে। উৎপাদনের দিক থেকে পঞ্চগড় এখন দ্বিতীয় চা অঞ্চল। কিন্তু গুণগত মানে পিছিয়ে। এজন্য চাষিদের চা বোর্ডের নির্দেশনা মেনে চায়ের উৎপাদন ও মান বাড়াতে হবে। চা বোর্ড তিন পি নিয়ে কাজ করছে। প্রডাকশন, কোয়ালিটি ও প্রাইস।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, বাংলাদেশ চা বোর্ডর পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামিম আল মামুন, উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন, পঞ্চগড় স্মল টি গার্ডেন অনার্স অ্যাসোসিয়েসনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ প্রমূখ বক্তব্য দেন। এতে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ে চা বাগান মালিক, ক্ষুদ্র চা চাষী, চা কারখানা মালিকের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগছে ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য হাতে কলমে বৈজ্ঞরনিক পদ্ধতিতে চা আবাদ ব্যস্থাপনা বিষয়ক এক কর্মশালায় যোগ দেন। উন্নত জ্ঞান, উন্নত চা’ শ্লোগান নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল’ শিরোনামে এই প্রশিক্ষন কর্মশালার আয়োজন করছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়।
0 মন্তব্যসমূহ