পঞ্চগড়ের আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতৃত্বে ছিলেন খবির উদ্দীন আহাম্মেদ। যাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খবির চাচা বলে ডাকতেন। বাড়ী পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নে।তিনি জন্ম লগ্ন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। লোভ-লালসার একবারে বাইরে ছিলেন। একনিন্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। কখনো কারো কাছে কোনো কিছুর জন্য হাত পাতেন নি।
তার ছেলে বর্তমান সাতমেরা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। রাতদিন বাবার মতো জনমানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিশাল অঙ্কের ভোট পান । তার বাবা খবির উদ্দীন আহাম্মেদ ১৯৭৩ সালে সাতমেরা ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাত্র ৬১ ভোটে পরাজয় বরণ করেছিলেন। তিনি ছিলে একজন সৎ ও যোগ্য রাজনীতিবিদ। এছাড়া খবির উদ্দীন দেশের ২৪ জন সৎ রাজনীতিবিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি। তার সততা আর নিষ্ঠতার কারনে ২০১৬ ইং সালের ৪ মে ১২ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ওই সালের ৯ মে পঞ্চগড় হিলিপোডে এক সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে ১৫ মে ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই খবির চাচা বলে পরিচিত প্রবীণ মানুষটি। তিনি দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালন করেন।তার বড় ছেলে এই রবিউল ইসলাম রবি। সাতমেরা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক। বাবার আদর্শে তিনি জনসেবা করে চলেছেন। সাতমেরা ইউনিয়নের সাধারন ভোটার সহ সর্বদলীয় মানুষ তাকে সাতমেরা ইউনিয়নে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে মরিয়া। মরহুম খবির উদ্দীন ছেলে রবিউল ইসলাম রবি বলেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি (নৌকা প্রতীকে) নিবার্চন করতে চান। জনগন তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন । তিনি বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জনগনের সেবা করতে চাই।
সাতমেরা ইউনিযনের কাহার পাড়া বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন ‘রবিউল ইসলাম রবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জনগন হয়রানীমুক্ত হবে। নৃগোষ্ঠির মানুষ দেওয়ান হেমরম বলেন ‘ রবি একজন যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী হয়রনীমুক্ত হবে। আমরাও তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলেিগর সভাপতি আজিরুল ইসলাম বলেন ‘তাকে মনোনয়ন দিলে গরীব মানুষ সঠিক বিচার ও হয়রানী থেকে মুক্তি পাবে। রবিউল এককজন ভালো মানুষ তার কাছে সবাই সমান। দীর্ঘদিন থেকে জেলা আওয়ামমীলীগের মিটিং মিছিল সহ অত্র সাতমেরা ইউনিয়নের তার সেবা এখন সাবার মুখে।বাবার রাজনৈতিক আর্দশ নিয়ে দেশ গড়ার কাজে তিনি সব সময় নিবেদিত।
এলাকার আরো অনেকে বলেন‘ রবি একজন জনপ্রিয় মানুষ। তার বাবার অবর্তমানে সাতমেরা ইউনিয়নে মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন তার বাবা। তাকে দেখলে খবির চাচা বলে ডাকতেন আমরা ইউনিয়নবাসি জানি। প্রধানমন্ত্রী তাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। তার উত্তরসূরী রবি। আমরা খবির চাচার ছেলে এই ত্যাগী আওয়ামীলীগের কর্মীকে সাতমেরা ইউনিয়নবাসির পক্ষ থেকে তাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবী করছি।
0 মন্তব্যসমূহ