মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ প্রদানের মামলায় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলমসহ তার এক সহযোগীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সরকার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় জামিন নিতে এসেছিলেন তারা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের গাড়াতিপাড়া এলাকার কালু মিঞার সাথে জমি নিয়ে হাড়িভাসা এলাকার সোহরাব আলী (৩৫), সুরমান আলী (৩২), মকবুল হোসেন (৫২) ও সাদ্দাম হোসেনের (২২) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। কালু মিয়াকে ভুয়া কালু মিয়া দাবি করে তারা আদালতে দুটি মামলাও করে। পরে মামলা দুটি খারিজ করে দেন আদালত। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা কালুমিয়ার প্রায় ১ একর জমি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় কালু মিয়া জমি উদ্ধারে আদালতে একটি মামলা করেন।
এরমধ্যেই আসামিরা হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাহেরা খাতুনের সহযোগিতায় কালুমিয়াকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ নেয়। বিষয়টি জানতেন না কালু মিয়া। পরে তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে কালুমিয়াকে হুমকি দিতে থাকে। ওয়ারিশ সনদে মৃত দেখানোয় তাকে মেরে ফেললেও কিছু হবে না বলে হুমকি দেয়।
বিষয়টি শুনে কালু মিয়া ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখতে পান তাকে মৃত দেখিয়ে রেজিস্ট্রারে ওয়ারিশ সনদ দেয়া হয়েছে। নিজেকে মৃত দেখানোয় বিস্মিত হন কালু মিয়া। পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কালু মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর-ই আলম, ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাহেরা খাতুন এবং বিরোধীয় সোহরাব আলী, সুরমান আলী, মকবুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আসাদ্দুজামান বলেন, ওই মামলায় ৭ জন আসামি মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত শুনানি শেষে মকবুল হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অন্য আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
0 মন্তব্যসমূহ