স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, করোনাকে জয় করি, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্পের অধিনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য ১শত এলসিএস সদস্যদের সামাজিক সচেতনতা ও কারিগরি বিষয়ক দুই দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শফিউল ইসলাম এঁর সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উপজেলা অডিটোরিয়াম হলরুমে শুভ উদ্বোধন করা হয়। ডিমলা উপজেলার লাইভলিহুড অফিসার মোঃ মেহেদী ফাহ্দ বিন আজাদ (সবুজ) এলজিইডি এঁর সার্বিক তত্ত্বাবধান পরিচালনা ও সঞ্চালনায় দুইদিন ব্যাপী কোভিড-১৯ প্রশিক্ষন কর্মশালার প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর। কর্মশালায় সকলের সম্মতিক্রমে ১শত এলসিএস সদস্যকে নিয়ে চারটি গ্রুপ নির্ধারন করা হয়, প্রতি গ্রুপে ২৫ জন নারী-পুরুষ এলসিএস সদস্যের মধ্যে চারজন চেয়ারম্যান ও চারজন সচিব হ্যাঁ-না ভোটে নির্বাচন করা হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্রনাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দীকা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার, রংপুর অঞ্চলের প্রভাতী প্রকল্প এলজিইডি রিজিওনাল লাইভলিহুড অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম, ও নীলফামারী জেলা এলজিইডি'র প্রভাতী প্রকল্পের মার্কেট সুপারভিশন লাইভলিহুড অফিসার মোঃ সহিদুল ইসলাম ফকির৷
কর্মশালায় চার গ্রুপে পৃথক পৃথক ভাবে এলসিএস সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কুঞ্জকলি রায়, উপজেলা প্রণীসম্পদের ভেটেনারী সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুল ইসলাম। কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সচিবসহ সকল এলসিএস কর্মীদের মূল কাজের স্থলে ব্যাবহারিক প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ