মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চোরাই গরুবহনকারী একটি পিকআপ ভ্যানকে ধাওয়া করে চুরি যাওয়া ছয়টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে জেলার জলঢাকা উপজেলার টেঙ্গনমারী থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে চোরেরা পিকআপে থাকা চোরাই গরুগুলো ফেলে পিকআপ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে গরুগুলোর শরীরে জখমপ্রাপ্ত হয়েছে।
জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের কুন্দল এলাকার বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম ট্যাপা (৫০) তাঁর বাড়ির পাশে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেন। ওই খামারে ১০টি দুধেল গাভী ও বাছুর গরু রয়েছে। ঘটনার দিন গতকাল শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ ৭/৮ জন গরুচোর একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে তার খামারে হানা দেয়। চোরেরা শফিকুল ইসলামের বাড়ির সড়কের পাশে তাদের নিয়ে আসা পিকআপ ভ্যানটি রেখে তার খামার থেকে তিনটি দুধেল গাভী ও তিন বাছুর গরু বের করে ওই পিকআপ ভ্যানে তুললে একটি বাছুর আকস্মিক ডাক চিৎকার করলে গৃহকর্তা ঘটনাটি টের পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
এ সময় তার খামারের গোয়াল ঘরে গরু দেখতে না পেয়ে এবং সামনে পিকআপ ভ্যানে গরুগুলো নিয়ে যেতে দেখে চিৎকার দেন। এসময় সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের সামনের থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক রুহুল ইসলাম রাব্বীসহ এলাকাবাসী দ্রুত ছুঁটে আসেন। পরে লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল নিয়ে চুরি করা গরু বহনকারী পিকআপকে ধাওয়া করেন। চোরেরাও পিকআপটির গতি বাড়িয়ে নীলফামারী হয়ে জলঢাকার দিকে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা জলঢাকার টেংগনমারি এলাকায় চলন্ত পিকআপ ভ্যান থাকা একটি একটি করে গরু ফেলে দিয়ে দ্রুতগতিতে পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে গরুগুলোর শরীরে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম ট্যাপা বলেন, অন্যের কাছ থেকে নেয়া একটি পালিত গরু থেকে আজ তার খামারে ১০টি গরু হয়েছে। খামারের আয়েই তার সংসার চলে। চোরেরা পিকআপ থেকে ফেলে দেওয়া গরুগুলো মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ