শাহজাহান কবির লেলিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় দোকানে অনাধিকার প্রবেশ করে প্রায় ২লক্ষ টাকার মালামাল সহ জোরপূর্বক দোকানঘর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক অসহায় পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম গোলমুন্ডা বনগ্রাম জুম্মাপাড়ার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী নবীজুল ইসলাম।অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, জলঢাকার ডালিয়া সড়ক সংলগ্ন কাকরা চৌপুতি রাস্তার পূর্বপার্শ্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একোয়ার ভুক্ত জমিতে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সেখানে কনফেকশনারী ও চা পানের দোকান করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু, কিছু দিন ধরে এলাকার দুষ্কৃতিকারিরা আমার দোকানের মালামাল লুটপাট ও দোকান দখল করার হুমকি দিয়ে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখ বুধবার আনুমানিক সকাল ৬টায় দুষ্কৃতকারী নুর ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বুলেট ও নুরবানু সহ তাদের কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার দোকানের তালা ভেঙ্গে অনাধিকার প্রবেশ করে।
দোকানে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, পানির ট্যাং ও মটর অন্যান্য জিনিসপত্র সহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। পরে জোরপূর্বক দোকানঘরটিও দখল করে নেওয়ায় সবমিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হই। ওরা আমার সবকিছু লুটে নিয়েও প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আমি একজন হার্টের রোগী হওয়ায় কোনও প্রতিবাদ করতে পারিনি। তিনি বলেন, এই দোকানটি আমার জীবন জীবিকার একমাত্র ভরসা।দোকানটি না থাকলে পরিবার পরিজনকে নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে।
এঘটনায় জলঢাকা থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ২সেপ্টেম্বর নীলফামারী বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।দোকানঘর ও মালামাল গুলো উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন নবীজুল ইসলাম।
এদিকে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম বুলেট জানায়, নবীজুল রিক্সা ভ্যান চালাতো। তার সংসারে অভাব অনটনের কথা চিন্তা করে তাকে দোকানটি ভাড়া দিয়েছিলাম ৬বছর আগে। প্রথমদিকে ঠিকমতো ভাড়া দিলেও ৮মাস ভাড়া না দেওয়ায় আমি দোকান ছাড়তে বলি। জলঢাকা থানায় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে ৮মাস পরে দোকান ছাড়িয়া দিবে বলে এই মর্মে উভয় পক্ষ অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করা হয়।
মেয়াদ ৩০ আগষ্ট ২১তারিখ শেষ হয়েছে। লুটপাটের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, তার আসবাবপত্র গুলো ৪০ হাজার টাকায কিনে নিয়েছি আর বাকী মালামাল অনেকেই সে বিক্রি করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ