মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বাসর রাতে বাবুল হোসেন (২০) নামে এক বরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হতভাগ্য বর বাবুল হোসেন দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি চরতিস্তাপাড়া এলাকার সফিজুল ইসলামের ছেলে। শনিবার ভোরে বাড়ির রান্নাঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পবিারের সদস্যরা।
শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তবে ঘটনাটি সন্দেহজনক উল্লেখ করে পুলিশ জানায় এটি কি আত্মহত্যা, নাকি অন্যকিছু তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামল করা হয়েছে। ঘটনাটি ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বোদা উপজেলার বড়শশী দিনবাজার এলাকার সবার উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিয়ে শেষে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরেন বাবুল হোসেন ও বরযাত্রীরা। এ সময় সাবিনা তার প্রতিবেশি এক দাদী ও ছোট দুই ভাই বোনকেও নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়িতে। বাবুলের বাড়িতে দুটি ঘর ছিল। বিয়ে বাড়িতে আসা অন্য মেহমানরাও ছিলেন। রাতে কে কোন ঘরে অবস্থান করবেন এ নিয়ে পরিবারের লোকজনের মনোমালিন্য হয় বাবুল হোসেনের। এক পর্যায়ে বর বাবুল হোসেন তার দাদী স্বাশুড়ি, এক দুলাভাই এবং দুই শিশুসহ এক ঘরে ঘুমাতে যান। রাত শেষে ভোরে পরিবারের লোকজন বাড়ির রান্নাঘরে বাবুল হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি জামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে কোন পক্ষই কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ করেননি। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। ঝুলন্ত মরদেহের পা মাটিতে লেগে ছিল। এটি কি আত্মহত্যা, নাকি অন্য কিছু তা তদন্তের আগে বলা ঠিক হবে না।
0 মন্তব্যসমূহ