নীলফামারী জেলায় ৮৬৩ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব


নীলফামারী ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্টঃ

নীলফামারীর ৮৬৩ পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে শুধু রঙতুলির কাজ। পূজা মণ্ডপকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আলোকসজ্জা ও গেট নির্মাণ করা হচ্ছে।

সদরের রামনগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল বাহালীপাড়া (জমিদার বাড়ি) কাছাড়ী বাজার পূজামণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, কারিগর সত্যেন্দ্র নাথ রায় তিন সহকারীসহ তৈরি করছেন প্রতিমা। কাদা লাগানোর কাজ শেষ করে রঙ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। সত্যেন্দ্র বলেন, গতবারের চেয়ে এবারের প্রতিমা আকারে অনেক বড় এবং এতে নতুনত্ব এসেছে। শাপলা ফুলের মাঝে গনেশ ঠাকুরের আবির্ভাব হয়েছে। যুদ্ধে যাচ্ছেন কার্তিক ঠাকুর।

মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধীরেশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘জেলার ৬১ ইউনিয়নের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি বাহালীপাড়া কাছাড়ী বাজার পূজামণ্ডপে প্রতিবারই জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার নীলফামারীতে ৮৬৩টি পূজামণ্ডপ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ডোমারে ৯৮, ডিমলায় ৭৫, জলঢাকায় ১৮১, কিশোরগঞ্জে ১৪৫, সদরে ২৭৭ ও  সৈয়দপুরে ৮৭টি রয়েছে। জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায় বলেন, ‘জেলার ৮৬৩ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হতে যাচ্ছে। আশা করি, মায়ের পূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে। এ ব্যাপারে পূজা উৎযাপন পরিষদ দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রমিজ আলম বলেন, ‘গত বছর নীলফামারীতে ৮৪৭ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়েছিল। এবার জেলায় ১৬টি মণ্ডপ বেশি হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মণ্ডপগুলোর অনুকূলে ৪৩১ দমমিক ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তা উপজেলা ভিত্তিক বিতরণ করা হবে।

পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এবার প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূজা চলাকালে সাদা পোশাকে ও পোশাকধারী পুলিশ, বিজিবি এবং র‌্যাব সদস্যরা টহল দেবেন। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ