নীলফামারীর জলঢাকায় গুচ্ছ গ্রামের ঘর উদ্ধারের সংবাদ সম্মেলন


এন.এম হামিদী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

হামরা কোনঠে যামো হ‍ামার যে যাওয়ার কোন জায়গা নাই, যাওবা পানু একটা সরকারি ঘর ওটাও দখল করি নেইল জহুরুল।  তোমরা হামাক বাহে ঘরটা উদ্ধার করে দেন আল্লাহ তোমাক ভাল করিবে এমন সব কথা বলে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে প্রতিবন্ধী করিফুল নেছা।

গতকাল সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের গড় ধর্মপাল গুচ্ছ গ্রামের ১৩ নং ঘর উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী করিফুল নেছারসহ তার পরিবারের সকল সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী করিফুল নেছা জানান, গড় ধর্মপাল গুচ্ছ গ্রামের ১৩ নং ঘরটি আমার স্বামী একরামুল হকের নামে বরাদ্দ হয়। সেই ঘরে আমারা প্রায় দের বছর বসবাস করি এবং হঠাৎ করে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জহুরুল হক পিতা তফিল উদ্দিনের সাথে মৌখিক কথা কাটাকাটি করে আমাদের বরাদ্দকৃত ঘরটি থেকে জোর পূর্বক ডাংমার ও ধাক্কাধাক্কি বেরকরে দিয়ে আসবাবপত্রসহ থাকার ঘর দখল করে নেয়। বতর্মানে করিফুল নেছার স্বামী পাগল ও চার সন্তান আর আমার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে করুনভাবে বসবাস করছি। 

এ বিষয়ে আশ্রয়নের সভাপতি, স্থানীয় ইউ'পি সদস্য ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামিনুর রহমানকে জানালে উভয় পক্ষকে ডেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করছে। পরে আমি অসহায় প্রতিবন্ধী নারী নির্রুপায় হয়ে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অভিযোগ করি। নির্বাহী অফিসার বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বললেও এখনও গুরুত্ব দিচ্ছেনা বলে জানান ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী করিফুল নেছা।

এ বিষয়ে আশ্রয়নের বাসিন্দা আব্দুল খলিল বলেন, সে অনেক দিন ১৩ নং ঘরে বসবাস করে,তাকে জোর করে জহুরুলসহ অনেকে বের করে দেয়। সে এখন প‍্যালাস্টিকের তাবুর ঘর করে ছেলে সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে খুব কষ্টে বাস করছে এই আশ্রয়নে।এ বিষয়ে ধর্মপাল ইউ'পি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান সাথে কথা বললে তিনি জানান, পূর্বে গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই মিলে তুচ্ছ ঘটনার বিচার করে করিফুল নেছাকে আশ্রয়ন প্রকল্পে থাকতে দেই এবং জহুরুলকে গুচ্ছ গ্রামের ১৩ নং ঘরটি দেওয়া হয়। সে সময় থেকে তারা বসবাস করে আসছে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ