রংপুর ব্যুরো অফিসঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বামী এখনো জীবিত। তারপরও মৃত দেখিয়ে ১৭ বছর ধরে বিধবা ভাতা উত্তোলন করছেন মনজিলা বেওয়া নামে এক নারী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর পশ্চিমপাড়া (দোলাপাড়া) এলাকায়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মী, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, চেয়ারম্যান ও সমাজকল্যাণ অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মনজিলা বেওয়া জানান, ২০০৪ সালে তার ভাই আইয়ুব আলী ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি ইউনিয়নের সমাজকর্মী ফরিদা বেগম এর মাধ্যমে তার এই বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। এবং ওই সাল থেকে আজ অবধি প্রায় ১৭ বছর ধরে বিধবাভাতা উত্তোলন করছেন। বর্তমানে তার স্বামী কালা মিয়া এলাকার চৌমুহনী বাজারে একটি হোটেলে মেসিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামী বাড়িতে নিয়মিত থাকেনা। মাঝে মাঝে সে বাড়ি থেকে চলে যায় এবং দীর্ঘদিন তার কোন খোঁজ খবর থাকেনা। ওই সময় তিনি প্রায় ১ বছর নিখোঁজ ছিল। এমতাবস্থায় সন্তানদের নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হওয়ায় ভাই ইউপি মেম্বার থাকায় এই সুবিধা করে দিয়েছেন। মনজিলা বেগমের কার্ডটির বই নং-১০৫, হিসাব নং-২২৩, বিআইএন নং-০২৭৩০০১৯৭৬।
ইউনিয়ন সমাজকর্মী ফরিদা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা ইত্যাদি দেওয়া হয়। এছাড়া ইউনিয়নে প্রায় ৯ থেকে ১২ হাজার ভাতাভোগী হওয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত কিংবা খোঁজ নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে এ ধরনের ভুল হতেই পারে। তবে দীর্ঘদিনেও এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। সৈয়দপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি। তাই এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বইটি বাতিল করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ