মহিনুল ইসলাম সুজন, ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডিমলায় প্রধান সড়ক ঘেঁষে বাঁশের স্তূপের কারনে সড়ক দুর্ঘটনায় মোজাহেদুর রহমান নয়ন(৪২)নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষক নিহত হয়েছেন।তিনি উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ি মধ্য পাড়া গ্রামের ওয়াহেদুর রহমানের ছেলে ও ছাতনাই কলোনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।একই ঘটনায় নীলফামারীর বাসিন্দা আতাউর রহমান(আতা মাষ্টার)নামের অপর এক শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সোমবার(২৭ সেপ্টেম্বর)মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ওই ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারের পাঁচশো গজ উত্তরে মাহাবুব কাজীর বাড়ির সামনে প্রধান সড়কে।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে শিক্ষক নয়ন টুনির হাট বাজার থেকে একই বিদ্যালয়ের অপর সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমানের মোটরসাইকেলের পিছনে বসে দুজনে তাদের কর্মস্থলে(বিদ্যালয়ে)যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে ঘটনাস্থলের প্রধান সড়ক ঘেঁষে রাখা পূর্বের বাঁশের স্তূপের ওপড় ভ্যানযোগে নতুন করে নিয়ে আসা বাঁশ নামানোর দৃশ্য কাছাকাছি পৌঁছে আকস্মিক দেখতে পেয়ে হার্ড ব্রেক করলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুজন শিক্ষক ছিটকে পড়েন।
এতে শিক্ষক নয়ন বাঁশের স্তূপে পড়ে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।পরে রমেকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান।এ ঘটনায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় একটি ইউডি মামলা নং-৬১৫,তারিখ-২৭/৯/২০২১ইং করেছে পুলিশ।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ,মহসিন নামের এক প্রভাবশালী বাঁশ ব্যবসায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে বাঁশ কিনে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান সড়কের দুই ধার ঘেঁষে উক্ত স্থানে বাঁশের স্তূপ করে রেখে সেখান থেকেই ট্রাকে বাঁশ লোড করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছেন।প্রধান সড়ক ঘেঁষে দুই ধারে রাখা বাঁশের স্তূপের কারনে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে প্রায় সেখানে ঘটতো ছোট-বড় দুর্ঘটনা।চলাচলে ভিষন অসুবিধে হতো পথচারী ও যানবাহনের।
এ নিয়ে এলাকাবাসী মহসিন কে একাধিকবার অভিযোগ করলেও বাঁশ ব্যবসায়ী প্রভাবশালী মহসিন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে উল্টো এলাকাবাসীর সাথে একাধিকবার দুর্ব্যবহার করে ভয়-ভীতি দেখানোয় ভয়ে তাকে আর কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না।তাই তিনি প্রধান সড়কের দুই ধার দখলে নিয়ে বাঁশের স্তূপ করে রেখে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তেই।এ ব্যাপারে স্থানীয়রা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষকের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশের দাফন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ